বছর ঘুরলেই ভোট। তার আগে রেলে ২৬ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র। প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৬৭৩ জন সহ-চালক ও ৮ হাজার ৮২৯ জন টেকনিশিয়ান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের ২১টি রেল রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মধ্যে সব থেকে বেশি খালি পদ রয়েছে ইলাহাবাদে। ৪ হাজার ৬৯৪টি। চার নম্বরে কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ হতে চলেছে ১ হাজার ৮২৪টি পদে।
মোদী জমানায় কোনও মন্ত্রকে এত কর্মী নিয়োগ এই প্রথম। সূত্রের খবর, বছরের মাঝামাঝি ফের এক দফা নিয়োগ হবে রেল মন্ত্রকে। এত দিন প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে পারেনি সরকার। উল্টে পকোড়া বেচে রোজগারের কথা তুলে বিদ্রুপের শিকার হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা নিয়মিত আক্রমণ শানাচ্ছেন চাকরি দিতে না পারার জন্য। এ ভাবে চললে লোকসভা ভোটে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে। যেমনটি হয়েছিল গুজরাত ভোটে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী যে ভাবে সরব হয়েছিলেন, তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল শাসক শিবিরকে। চলতি বছরে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে।
প্রায় এক দশক ধরেই রেলে নিয়োগ কার্যত থমকে রয়েছে। রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হিসেবে বর্তমানে সংখ্যাটা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মন্ত্রকের কাছে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, ওই পদগুলি মূলত রেলের সুরক্ষার সঙ্গেই জড়িত। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রেলকে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই সব পদে নিয়োগের সুপারিশ করে যাচ্ছে সংসদীয় কমিটি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু একটি জোনে দুর্নীতির কারণে গোটা প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। দুর্নীতি রুখতে এ বার তাই কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি)-র মাধ্যমে বাছাই হবে প্রার্থী। দু’দফা সিবিটি-র পরে ‘কম্পিউটার বেসড অ্যাপটিটিউড টেস্ট’-এ ডাকা হবে। তাতে সফল হলে মিলবে নিয়োগপত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy