সবক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতায় আগেই সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে প্রথম মামলা হয়েছিল। এখন মামলার সংখ্যা ২২-এ পৌঁছেছে। আজ কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল আধার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর কাছে আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলাগুলির শুনানি হবে।
আধার বাধ্যতামূলক করার প্রশ্নটি সুপ্রিম কোর্ট শুনতে রাজি। এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোবাইলের সঙ্গে আধার জুড়ে দেওয়ার বিরোধিতা করে জানান, তিনি তাঁর মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার জুড়বেন না। ঠিক সেই আপত্তি তুলেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন রাঘব তাঙ্খা। আজ তারও শুনানি হয়। এবং সেখানেও সওয়াল করেন কপিল সিব্বল, যিনি রাজ্যেরও আইনজীবী। সেই মামলায় কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিস জারি করেছে।
আধার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বকুনির পরে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত রাজ্যের আইনজীবীদের যুক্তি, অগস্ট মাসে এই মামলার খসড়া নবান্ন থেকেই তৈরি হয়ে এসেছিল। সেখানেই বিপত্তি ঘটে।
আজই তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ব্যক্তিগত ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার জুড়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। তাঁর যুক্তি, আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন করে অ্যাকাউন্টে আধার বাধ্যতামূলক করা সাংবিধানিক ভাববে অবৈধ। এই মামলায় রাজ্য সরকারও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে আর্জি বদলাবে বলেই সূত্রের খবর।