জয়ললিতার মূর্তি উদ্বোধনের পরে পলানীস্বামী এবং পনীরসেলভম। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
চেন্নাইয়ে এডিএমকে দলের সদর দফতর। তার বাইরে বিশাল এক মূর্তি। দলীয় প্রতীক দু’টি পাতার ভঙ্গিতে আঙুল তোলা। কিন্তু মুখটা আদৌ প্রয়াত এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার সঙ্গে মিলছে না বলে দাবি অনেকেরই।
আজ প্রয়াত নেত্রীর ৭০তম জন্মদিন পালনে এলাহি আয়োজন করেছে এডিএমকে-র পলানীস্বামী শিবির তথা রাজ্য সরকার। কর্মরত মহিলাদের স্কুটার দেওয়া ও রাজ্যে ৭০ লক্ষ চারাগাছ লাগানোর ভাবনা ছিল প্রয়াত নেত্রীর। আজ চেন্নাইয়ে সেই দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সুযোগে কেন্দ্রের শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্কটাও ফের ঝালিয়ে নিয়েছে পলানীস্বামী শিবির। কিন্তু দলীয় দফতরের সামনে জয়ললিতার মূর্তি নিয়েই বেধেছে গোলমাল। মূর্তিটি আজই উদ্বোধন করেন পলানীস্বামী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম। কিন্তু জয়ললিতার মুখের সঙ্গে মূর্তির মুখের বিশেষ মিল নেই বলেই দাবি অনেকের। অভিনেত্রী কস্তুরী শঙ্কর ব্যঙ্গের সুরে টুইট করেন, ‘‘ওই মূর্তির ভাস্কর ও এডিএমকে-র দূরদর্শী নেতাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই মূর্তির মধ্যে জয়ললিতা ও এম জি রামচন্দ্রনকে ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। ওই মূর্তির মাথায় টুপি আর চোখে চশমা পরালেই এমজিআর। আর সেগুলি খুলে নিলেই আম্মা।’’
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে দলের কর্তৃত্ব নিয়ে টানাপড়েনের জেরে পলানীস্বামী ও শশিকলা শিবিরে ভেঙে যায় এডিএমকে। কস্তুরী শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘শশিকলার ভাবমূর্তি জয়ললিতার মধ্যে ফুটিয়ে তুলতেই মূর্তি এমন ভাবে তৈরি হয়নি তো?’’ তাঁর মতে, ‘‘ওই মূর্তি বানিয়ে আম্মাকে অপমান করা হয়েছে।’’ তদন্তেরও দাবি তুলেছে কোনও কোনও শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy