Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আধুনিক অস্ত্র বানাবে বেসরকারি সংস্থাও

আর লাল ফিতের ফাঁস রইল না। এ বার এ দেশের টাটা, রিলায়্যান্স বা আদানির মতো সংস্থাগুলিই বিদেশের বোয়িং কিংবা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের কারখানায় যুদ্ধবিমান বা ডুবোজাহাজ তৈরি করতে পারবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০৩:০০
Share: Save:

আর লাল ফিতের ফাঁস রইল না। এ বার এ দেশের টাটা, রিলায়্যান্স বা আদানির মতো সংস্থাগুলিই বিদেশের বোয়িং কিংবা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের কারখানায় যুদ্ধবিমান বা ডুবোজাহাজ তৈরি করতে পারবে।

আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বে ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’ দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলির ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ নীতিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এত দিন শুধু মাত্র ডিআরডিও বা হ্যাল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিই বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারত। এ বার এ দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিও বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে পারবে।

নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য হল, বিদেশ থেকে যুদ্ধাস্ত্র বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি কমিয়ে দেশেই আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করা। তাঁর যুক্তি, আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। সমস্যা ছিল আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। কিন্তু ডিআরডিও-হ্যাল বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মেলালেও তাতে বিরাট সাফল্য আসেনি। মোদী সরকারের যুক্তি, দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলি হাত মেলালে এ দেশে নতুন কারখানা তৈরি, শিল্পায়ন, কারখানার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তৈরি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রকল্প সফল হবে।

দেশি-বিদেশি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের জন্য প্রাথমিক ভাবে চারটি ক্ষেত্রকে বাছাই করা হয়েছে। এক, নতুন প্রযুক্তির ডুবোজাহাজ। দুই, এক ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান। তিন, নৌসেনার জন্য হেলিকপ্টার। চার, সেনা জওয়ানদের জন্য বর্ম আচ্ছাদিত গাড়ি। এ দেশের টাটা, রিলায়্যান্স ডিফেন্স, আদানি, মহীন্দ্র অ্যান্ড মহীন্দ্র, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর মতো সংস্থাগুলি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে উৎসাহ দেখিয়েছে।

নীতিগত ভাবে আজ সিলমোহর পড়লেও এই ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ নীতির খুঁটিনাটি তৈরি এখনও বাকি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, সেই খুঁটিনাটি দিকগুলি চূড়ান্ত করে কাজ শুরু করাটাই নতুন প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্রর প্রথম চ্যালেঞ্জ। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৈঠকে এ বিষয়ে কথার পর, ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’-এর আজকের বৈঠকের আগে বণিকসভাগুলিরও মতামত জানতে চেয়েছিলেন জেটলি। আজ বণিকসভা ফিকি-র সভাপতি পঙ্কজ পটেল বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে প্রতিরক্ষা ও এরোস্পেস ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া-তেও প্রয়োজনীয় গতি আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE