রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে প্রবল আক্রমণ করেছে ভারত। তার ঠিক পরেই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করে আফগানিস্তান নীতিকে পোক্ত করা হয়েছে। বুধবার থেকে আমেরিকার উদ্যোগে নয়াদিল্লিতে শুরু হল ভারত-আফগানিস্তান বাণিজ্যমেলা।
মাসের গোড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন আফগানিস্তান নীতি ঘোষণা করার পরেই সাউথ ব্লক সবুজ সংকেত পেয়েছে। ওই নীতিতে পাকিস্তানকে একঘরে করে ভারতের ভূমিকাকে আরও বড় করে দেখানো হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বাণিজ্য এবং কৌশলগত প্রশ্নে কাবুল সহযোগিতায় ভারত বৃহত্তম ভূমিকা পালন করুক। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমেরিকা করবে।
সেই লক্ষ্যেই প্রায় ২৫০টি আফগান সংস্থার প্রতিনিধি দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। থাকছে ভারতের ৮০০টি বাণিজ্যিক সংস্থাও। গোটা মেলাটির আর্থিক সহযোগিতা করছে আমেরিকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কথায়, ‘‘এই ধরনের ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগ যথেষ্ট অভিনব। এর ফলে ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা অনেকটা এগিয়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন:লতার জন্মদিনে সচিনকে শুভেচ্ছা কংগ্রেসের জোশীর
এই মেলায় যোগ দিতে আজ সকালেই ভারতে এসেছেন সে দেশের চিফ এগ্জিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লা। দু’দিন এ দেশে থাকবেন তিনি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক সারেন আবদুল্লা। বৈঠকে দু’দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়াকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের একটি সনাতন বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে সেই সিল্ক রুটের যুগ থেকেই। কিন্তু এ বারে যেটা করা হচ্ছে, সে দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে।’’ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শক্তিক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতীয় সংস্থাগুলির গাঁটছড়া বাঁধা হবে এই মেলায়। এই বেসরকারি যোগাযোগের মধ্যেও সব রকম সহযোগিতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের। শুধু মাত্র বাণিজ্যিক লাভ নয়, সে দেশের পরিকাঠামো এবং অর্থনীতির উন্নয়নও অগ্রাধিকার থাকবে কেন্দ্রের। আফগানিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সংস্থাগুলির বিনিয়োগ এবং কাজ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাগত দিক থেকে কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সে ব্যাপারে সহযোগিতার বিশেষ আশ্বাস দিয়েছে কাবুল এবং নয়াদিল্লিকে।