প্রচার: মোদী-রাজ্যে রাহুল। ফাইল ছবি।
গুজরাত নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করলেন রাহুল গাঁধী। রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে কংগ্রেস সহ সভাপতির টুইট, ‘‘গ্যাস দামি, রেশন দামি।... মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করুন, চাকরি নিশ্চিত করুন, না হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ুন।’’
গুজরাত ভোটে বিজেপিকে হারাতে মরিয়া কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গুজরাত সফর করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি। মোদীর রাজ্যে বিজেপি-কে ধাক্কা দিতে কংগ্রেস পটেল, মুসলমান এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির ভোট ঘরে তুলতে মরিয়া। এই লক্ষ্যপূরণে আদায় করে নিয়েছেন হার্দিক পটেলের সমর্থন। আবার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে দলিতদের দাবি যুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ বার মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব ইস্যুতে মোদীকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস সহ সভাপতি। দাবি তুললেন গদি ছাড়ার।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ফের আক্রান্ত বিদেশি নাগরিক, গ্রেফতার এক
আরও পড়ুন: শিল্পসভায় ভোটপ্রচার প্রধানমন্ত্রী মোদীর
২০১৪-য় সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে মোদী যখন আজ গল্ফ খেলার ছবি, কাল চা বেচার ইতিহাস বেচতেন, তখন রাহুল বলতেন, ‘আমার লড়াই একটা হলোগ্রামের সঙ্গে।’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের নেতারা রাহুলকে বলেন, মোদীর মতো পুরোপুরি সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু একেবারে অন্তর্মুখী হয়ে থাকাও ঠিক নয়। মাঝামাঝি জায়গায় আসা দরকার। রাহুলও তা মেনে নেন। ভাবমূর্তির পাশাপাশি রাহুল তাই আক্রমণের ভাষাও বদলেছেন। আর এ বার আক্রমণের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিলেন সেই সোশ্যাল মিডিয়াকে।
এ দিনই হিমাচল প্রদেশের ভোটপ্রচারে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদী। পালামপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী জানান, ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের বর্ষপূ্র্তির প্রতিবাদে কংগ্রেস, বিরোধীরা তাঁর কুশপুতুল পোড়াবে, কিন্তু তিনি এতে ভীত নন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই থামবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy