Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

যোগীই এখন ভরসা মোদীর

গুজরাতে জাতপাতের অঙ্ক সাজিয়ে ‘নরম হিন্দুত্বে’র তাস খেলছেন রাহুল গাঁধী। ঘন ঘন সভা করে বিজেপির উদ্বেগ বাড়াচ্ছেন ২৪ বছরের হার্দিক পটেলও। পরিস্থিতি এমন, পাতিদার এলাকায় বিজেপি প্রার্থীকে জনতা তাড়া করেছে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৫
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের জয়ের ‘মুখ’ যোগী আদিত্যনাথকে দিয়েই গুজরাতে জয়ের পথের কাঁটা দূর করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।

গুজরাতে জাতপাতের অঙ্ক সাজিয়ে ‘নরম হিন্দুত্বে’র তাস খেলছেন রাহুল গাঁধী। ঘন ঘন সভা করে বিজেপির উদ্বেগ বাড়াচ্ছেন ২৪ বছরের হার্দিক পটেলও। পরিস্থিতি এমন, পাতিদার এলাকায় বিজেপি প্রার্থীকে জনতা তাড়া করেছে। এই অবস্থায় জাতপাতের অঙ্ক ঢাকতে হিন্দুত্বের ‘মুখ’ যোগীকে ব্যবহার করতে মরিয়া মোদী-অমিত শাহ। গত কাল উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে বিপুল জয়ের পরেই যোগীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতে যোগীকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, আজ তা নিয়েই আলোচনা করেন দু’জনে।

ক’দিন আগেও গুজরাতে সভা করেছেন যোগী। কিন্তু তা ফ্লপ হয়েছে! এখন উত্তরপ্রদেশের জয়কে কাজে লাগাতে মরিয়া মোদী। কাল ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘‘সোয়েটার পরে নিন, উত্তরপ্রদেশের হাওয়া গুজরাতে যাচ্ছে।’’ বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, এই মুহূর্তে দলের সবথেকে আতঙ্কের জায়গা পাতিদার অধ্যুষিত অঞ্চলেই যোগীকে নামানো হবে। হিন্দুত্বের জিগির তুলে জাতের অঙ্কের মোকাবিলা করা হবে। হার্দিকের সভায় ভিড় মেনে নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ আছে, তবু দেড়শো আসন জিতব। গুজরাত জাতপাতের বিভাজন মানবে না।’’

মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই যোগীর গুজরাত সফরের প্রস্তুতি শুরু করে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। সোমনাথ মন্দিরের নথিতে রাহুলের নাম বিতর্ক ফের উস্কে দেন অমিত শাহ। এমনকী রাহুলের হিন্দুত্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে সনিয়া গাঁধীকেও ছাড় দেননি তিনি। সেই সঙ্গেই বলেছেন, ‘‘আমি সাত প্রজন্মের হিন্দু।’’ হিন্দুত্বের তাস খেলতে বিজেপি কতটা মরিয়া, তা বোঝাতে অরুণ জেটলির মতো নেতাও এ দিন বলেন, ‘‘হিন্দুত্বপন্থী দল বলে তো বিজেপিই পরিচিত। আসল ছেড়ে নকলকে (রাহুল) কেন ভরসা করবে মানুষ?’’

যোগীর গুরুত্ব এ ভাবে বাড়ায় প্রশ্ন উঠছে, মোদীর পর তিনিই কি সবচেয়ে জনপ্রিয়? ২০১৯-এ মুখ কি যোগী? অস্বস্তিতে পড়ে অমিত শাহ সরাসরি জবাব এড়িয়ে বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেও যোগী জনপ্রিয় ছিলেন। এখন জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।’’

কংগ্রেস বলছে, আসলে রাহুল গাঁধী গুজরাতের অনুন্নয়ন নিয়ে মোদীকে রোজ একটি করে প্রশ্ন করছেন। তার উত্তর নেই বিজেপির মুখে। অস্বস্তি এড়াতেই এখন ধর্ম টানছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ফের গুজরাত যাবেন রাহুল। প্রচার করবেন পাতিদার অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE