Advertisement
E-Paper

প্রার্থী বাছাই নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধে মোদী-রাহুল

দুই দলের মুখেই এক রা— ‘‘প্রার্থীর উপরে হার-জিত অনেকটা নির্ভর করে। আবার প্রার্থী ঘোষণার পরে টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধদের ভাঙিয়ে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৯
মোদী ও রাহুল।

মোদী ও রাহুল।

লড়াই নরেন্দ্র মোদী বনাম রাহুল গাঁধীর।

কিন্তু বিধানসভা ভোটে স্থানীয় স্তরে প্রার্থীও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রার্থী বাছাই নিয়েই এ বার স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। আজ সন্ধেয় দিল্লিতে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ও রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস— উভয়েরই বৈঠক হল প্রার্থী বাছাই নিয়ে। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বিজেপির প্রার্থী দেখেই তারা নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। এই কৌশল দেখে বিজেপিও স্থির করেছে, প্রার্থীদের নাম ধাপে ধাপে ঘোষণা করবে তারা। সে জন্য মোদীর আজকের বৈঠকের পরে এক জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়নি। কংগ্রেসও প্রার্থী বাছাই দলীয়
বৈঠক এক দিন পিছিয়ে দিয়েছে। গুজরাতের প্রার্থী বাছতে শুক্রবার বৈঠকে বসবে কংগ্রেস।

দুই দলের মুখেই এক রা— ‘‘প্রার্থীর উপরে হার-জিত অনেকটা নির্ভর করে। আবার প্রার্থী ঘোষণার পরে টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধদের ভাঙিয়ে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ। তাই মেপে পা ফেলা দরকার।’’ কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ভোটে আসল বিষয় হল হাওয়া। মোদী এখনও পর্যন্ত সে ভাবে প্রচার শুরু করেননি। কিন্তু তার আগেই রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। জনমত সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে, বিজেপির আসন ও ভোট শতাংশ কমছে, বাড়ছে কংগ্রেসের। ভোট পর্যন্ত একে টিকিয়ে রাখাই আসল চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা নিয়ে সাড়া পাচ্ছেন না রবিশঙ্কর

আর বিজেপি বলছে, আজ থেকে গুজরাতের ভার আনুষ্ঠানিক ভাবে কাঁধে নিলেন মোদী। গুজরাতের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরুণ জেটলিকে। তিনি এখন সিঙ্গাপুরে। তাঁকে ছাড়াই মোদী-অমিত শাহ নিজের হাতে আসন ধরে ধরে প্রার্থী বাছাই শুরু করলেন। গোটা বিষয়টি মোদী হাতে নেওয়ায় ভয়ে রয়েছেন অনেক বিজেপি বিধায়ক। কারণ, ২০০৭-এ মোদী ৪৭ জন বিধায়কের টিকিট কেটেছিলেন, ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩০-এ। কারণ, তখন কেশুভাই পটেলের পৃথক দল মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।

বিজেপির বিধায়করা মনে করছেন, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে হার্দিক পটেল, জিগ্নেশ মেবাণী, অল্পেশ ঠাকুরের জোট যে ভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাতে বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না মোদী। বিক্ষুব্ধের সংখ্যা বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে পারবেন না তিনি। টিকিট দিতে হবে জাতপাতের সমীকরণ মেনেই। হার্দিক এখনও কংগ্রেসে যোগ না দিলেও রাহুলের থেকে ৭-৮ টি আসন চেয়েছেন। অল্পেশ কংগ্রেসে যোগ দিয়েও ১০-১৫ টি আসনের দাবি করেছেন। আর টিকিট নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জিগ্নেশ নিজেই দিল্লি ঘুরে গিয়েছেন।

অহমেদ পটেলের রাজ্যসভা ভোটের সময়েই কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল, দলের বিধায়কদের ফের টিকিট দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি মানলে কংগ্রেসের ৪৩ জন বিধায়ক টিকিট পাবেন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের ১৮২ টি আসনের মধ্যে বাকিদের জন্যও বিস্তর সুযোগ থাকছে। এরই মধ্যে আজ অখিলেশ যাদব ঘোষণা করেছেন, গুজরাতে তাঁরা কয়েকটি আসনে লড়বেন। বাকি আসনে কংগ্রেসকে সমর্থনের জন্য বলবেন।

Gujarat Assembly Elections 2017 বিধানসভা নির্বাচন গুজরাত Rahul Gandhi রাহুল গাঁধী Narendra Modi নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy