আগামী কালই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি কেরলের ‘লভ জেহাদ’ মামলার। তার আগে আজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন অখিলা অশোকন ওরফে হাদিয়ার বাবা কে এম অশোকন।
দক্ষিণ কেরলের কোল্লামের মুসলিম যুবক শাফিন জাহানের সঙ্গে তাঁর মেয়ে অখিলার বিয়ে প্রসঙ্গে অশোকন কেরল হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেছিলেন, অখিলাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় পাঠানো হবে।
আজ সেই অভিযোগ থেকে একচুলও না সরে সংবাদমাধ্যমের কাছে অশোকন জানান, তিনি চান না, তাঁর মেয়েকে আত্মঘাতী জঙ্গি বানানো হোক। তাঁর দাবি, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় কাজ করে শাফিন। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে ওই অশান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্যই।’’
৫৯ বছর বয়সি অশোকন বলেন, ‘‘বহু মানবাধিকার কর্মী ও অন্য অনেকে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। কিন্তু কেউ বাবা-মায়ের কষ্টটা ভেবে দেখছে না।’’ তাঁর দাবি, তিনি কোনও ধর্ম বা ধর্ম পরিবর্তনের বিরোধী নন। তবে নিরীহ মেয়েদের অশান্ত এলাকায় পাঠানোর বিরোধিতা করছেন তিনি। এর পাশাপাশি অশোকন জোর দিয়ে এ-ও জানান, দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর।
সূত্রের খবর, ধর্ম পরিবর্তন করে গত ডিসেম্বরে শাফিনকে বিয়ে করেছিলেন পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অখিলা। মেয়ের বিয়ে মানতে পারেননি বাবা। তাই কেরালা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চলতি বছর মে মাসে কোর্ট ওই বিয়ে নাকচ করে দেয়।
তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অখিলার স্বামী। ‘লভ জেহাদ’-এর অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় তদন্তভার সুপ্রিম কোর্ট দেয় জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ)-কে। তখন আপত্তি করেনি কেরল সরকার।কিন্তু গত কালই মত বদলে কেরল সরকার জানিয়েছিল, এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy