ইয়াকুব মেমন এবং আফজল গুরুর ফাঁসি কি রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত? মেমন বা গুরুর ফাঁসির পর এই প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। আর এ বার সেই অভিযোগ করলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এপি শাহ। যিনি আবার জাতীয় আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে।
ঠিক কী বলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি?
সিএনএন আইবিএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন বিচারপতি দাবি করেন, মেমনের ফাঁসির ক্ষেত্রে এমন অনেক কিছু ছিল, যা ঠিক মতো খতিয়ে দেখলে ফাঁসি হওয়ার কথাই নয়। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্টেরই এমন কিছু রায় আছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বহু বছর জেলে থাকলে তাঁর ফাঁসি হওয়া দুষ্কর। তবে কি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও সমাজ এবং রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েন? অন্যায় হয়েছে মেমনদের সঙ্গে? প্রাক্তন বিচারপতির মতে, অন্যায়ই হয়েছে। তাঁর দাবি, “প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। আর ফাঁসি এমন এক রায়, যার উপরে কোনও শাস্তি হয় না। তা ছাড়া আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, ফাঁসি দিয়ে সন্ত্রাস ঠেকানো যায় না।” এমনকী মৃত্যুদণ্ডের মতো রায় শোনানোর আগে বিচারপতিদের সব দিক আরও ভাল করে খতিয়ে দেখা উচিত বলে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে সুপারিশ করেছিলেন বলেও জানান বিচারপতি শাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy