পাঁচ বছর আগে একই দিনে ঘোষণা হয়েছিল গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ভোট। আজ কিন্তু শুধু হিমাচলের ভোটের নির্ঘণ্টই ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে ৯ নভেম্বর। গণনা ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ। ভোটগ্রহণের এক মাস দশ দিন পরে গণনার কারণ জানাতে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আঁচল কুমার জ্যোতি বলেন, হিমাচলে গণনার আগেই গুজরাতে ভোট সেরে ফেলা হবে। হিমাচলের ফল যাতে গুজরাতের মানুষকে প্রভাবিত করতে না-পারে, সেই জন্য দু’রাজ্যে ভোটের পরেই গণনা হবে।’’
তা হলে আজই গুজরাতে ভোটের দিন ঘোষণা করা হল না কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, সামনের সপ্তাহে গুজরাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে প্রকল্প ঘোষণার সুযোগ করে দিতে কমিশনের উপরে চাপ ছিল কেন্দ্রের। কারণ, ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যায়। তখন আর নতুন প্রকল্প ঘোষণা করা যায় না। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সরকারের চাপে পিছু হটেছে কমিশন। কিন্তু কেন কমিশন মাথা নত করল তার জবাব তাদের দিতে হবে। এত কিছুর পরেও গুজরাতের মানুষ অবশ্য ঠিক করে ফেলেছে বিজেপি-কে তারা হারাবে।’’
কমিশনের অবশ্য যুক্তি, গুজরাতে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ভোট করালেই হবে। ফলে হাতে সময় আছে। কিন্তু বিরোধীরা পাল্টা বলছেন, হিমাচলের সঙ্গে ভোট গণনা হলে এটা স্পষ্ট যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই গুজরাতে ভোট করাতে চায় কমিশন। সে ক্ষেত্রে আজ দিন ঘোষণাই ন্যায়সঙ্গত হতো।
ফলে সব মিলিয়ে দিন ঘোষণার আগেই আরও জমে উঠল গুজরাতের ভোট। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। দিল্লি ছেড়ে আপাতত সেখানেই মন দিয়েছেন অমিত শাহ। যাচ্ছেন বসুন্ধরা রাজে, রাজনাথ সিংহ, যোগী আদিত্যনাথ, অরুণ জেটলির মতো তাবড় নেতারা।
বসে নেই কংগ্রেসও। গুজরাতে এক প্রস্ত প্রচার সেরে এসেছেন রাহুল গাঁধী। দীপাবলির পরে ফের যাবেন। নোট বাতিল এবং জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে হারাতে মরিয়া তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy