Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

কী ভাবে ফাঁদে ফেলে ‘হানিট্র্যাপ’?

‘হানিট্র্যাপ’-এ পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত খবর ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীর বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মার্কিন আইনজীবী সি এডমন্ডস অ্যালেনের লেখা সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি নিয়ে এখন গোটা দেশ তোলপাড়। অস্বস্তিতে বরুণও। কিন্তু যে ‘হানিট্র্যাপ’ নিয়ে এত শোরগোল আদতে সেটা কী?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ১৫:৫৭
Share: Save:

‘হানিট্র্যাপ’-এ পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত খবর ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীর বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মার্কিন আইনজীবী সি এডমন্ডস অ্যালেনের লেখা সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি নিয়ে এখন গোটা দেশ তোলপাড়। অস্বস্তিতে বরুণও। কিন্তু যে ‘হানিট্র্যাপ’ নিয়ে এত শোরগোল আদতে সেটা কী?

বলিউড ফিল্ম ‘কর্পোরেট’ দেখেছেন? সেখানে দেখানো হয়েছে কী নিখুঁত ভাবে ফাঁদে ফেলে গোপন নথি হাতিয়ে নিচ্ছেন নিশি দাশগুপ্ত ওরফে বিপাশা বসু। একটি ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সুন্দরী, স্মার্ট এমন এক তরুণীকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে অন্য সংস্থার গোপন নথি হাতিয়ে আনা যায় সেটা তুলে ধরা হয়েছিল এই ফিল্মে। নিশি দাশগুপ্ত তাঁদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার সিইও-কে ‘হানিট্র্যাপ’-এ ফেলে তাদের সব বিজনেস প্ল্যান হাতিয়ে নেয়।

বরুণ গাঁধীর ক্ষেত্রেও সে রকমই হয়েছে বলে দাবি ওই মার্কিন আইনজীবীর।

কী এই হানিট্র্যাপ?

• পশ্চিমের দেশগুলিতে হানিট্র্যাপিং বিষয়টি খুব প্রচিলত। ‘হানি ট্র্যাপিং’ শব্দটি প্রথম শোনা যায় লস অ্যাঞ্জেলসে। তার পর সেটা আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

• সুন্দর কোনও নারী বা পুরুষকে ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করে গোপন নথি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় এই ‘ফাঁদ’।

• যে সব নারী বা পুরুষকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে নানা মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও গোপনে তুলে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয় টার্গেটকে।

• অনেক সময় গোয়েন্দারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ধরতে কাউকে হানিট্র্যাপ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।

• কর্পোরেট বা রাজনীতি জগতের সঙ্গে এই শব্দটা জড়িয়ে গেলেও, মূলত অবৈধ সম্পর্ককে হাতনাতে পাকড়াও করতে স্বামী বা স্ত্রী গোয়েন্দা নিযুক্ত করেন। গোয়ান্দারাই ওই সম্পর্কের তদন্তে নেমে সুন্দরী মহিলা বা পুরুষদের হানিট্র্যাপ হিসাবে ব্যবহার করেন।

শুধু বরুণই নন, এ দেশেই হানিট্র্যাপ-এর শিকার হয়েছেন আরও অনেক পদস্থ ব্যক্তিত্ব। ২০১৫ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার কেকে রঞ্জিতকে একই ভাবে ফাঁদে ফেলেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা। ২০০৮-এ ‘র’-এর অফিসার মনমোহন শর্মা চিনা শিক্ষিকার ‘হানিট্র্যাপ’-এ পড়ে অনেক দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন। ২০০৭-এ ‘র’-এর আরও দুই অফিসার রবি নায়ার এবং কে ভি উন্নিকৃষ্ণণও এই ফাঁদে পড়ে তথ্য ফাঁস করেছিলেন বলে অভিযোগ।

আরও খবর...

বিদেশি যৌনকর্মীদের ফাঁদে পা দিয়ে তথ্য পাচার করেছেন বরুণ গাঁধী?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Honeytrap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE