নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তিন বছর ধরে ঢাক পিটিয়েছেন— তাঁর জমানায় দুর্নীতি ত্রিসীমানায় ঢুকতে পারেনি। সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই দুর্নীতিই এখন সেঁটে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের গায়ে।
ঘরে-বাইরে সাঁড়াশি আক্রমণ। তার মধ্যেই রোজ চেষ্টা চলছে কেলেঙ্কারির দায় ঝেড়ে ফেলার। এ বার আর একটি অভিনব পন্থা নিলেন মোদী। দুর্নীতি কী করে রোখা যাবে— খোদ জনতার উদ্দেশেই ছুড়ে দিলেন প্রশ্নটি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি ‘মাইগভ’ ওয়েবসাইটে ঘটা করে এই নিয়ে জনতার মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে কী করে ফাঁকফোকর বোজানো যায়, তা নিয়ে জানাতে বলা হয়েছে আমজনতাকে। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ দেখে কংগ্রেসের এক নেতার মন্তব্য, ‘‘যাক, শেষ পর্যন্ত তিনি মানলেন, দুর্নীতি রয়েছে। এত দিন তো এটাই স্বীকার করতে চাইছিলেন না।’’
নীরব মোদী নিয়ে মোদী নীরব কেন, রাহুল গাঁধীরা তা নিয়ে কটাক্ষ করছেন। সংসদে রোজ চলছে হল্লা। কিন্তু আসল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে বিজেপি ঘুরপাক খাচ্ছে অন্য বিষয়ে। এমনকী মেহুল চোস্কীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পি চিদম্বরমের পাশাপাশি আজ বকলমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকেও দায়ী করেছে বিজেপি।
বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘৮০:২০ প্রকল্পে সোনা আমদানিতে দেদার ছাড় দিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। আর ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের এক দিন আগে চিদম্বরম সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন চোক্সীর সংস্থাকে। এক দিনে ৯টি ডেস্কের ছাড়পত্র দিয়ে সে দিনই পাঠানো হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। ১৬ মে ফলপ্রকাশ এবং এতে মোদী জেতার পরেও ২১ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোন সরকারের ইশারায় এর মঞ্জুরি দিল? তা-ও আবার ভোটের আচরণ বিধি ভেঙে!’’
কংগ্রেস বলছে, মামা-ভাগ্নে নিয়ে বেকায়দায় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর ‘আমাদের মেহুলভাই’-কে নিয়ে নাজেহাল বিজেপি এখন দায় এড়ানোর সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু কী করে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালালেন, তার উত্তর দিচ্ছে না মোদীর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy