রাজভবনের নীচে যে একটি সুড়ঙ্গ আছে, তেমন একটা জনশ্রুতি ছিল বহু কাল ধরেই। কিন্তু সেই সুড়ঙ্গের খোঁজ করতে গিয়ে যে আস্ত একটা বাঙ্কার বেড়িয়ে পড়বে, তা বোধহয় আঁচ করতে পারেননি কেউই।
মাস তিনেক আগে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও জানতে পারেন, রাজভবনের নীচে সম্ভবত একটি প্রাচীন সুড়ঙ্গ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন, বহু দিন ধরেই স্থানীয় মানুষের মধ্যে সুড়ঙ্গ নিয়ে এই জনশ্রুতি রয়েছে। রহস্যের কিনারা করতে সুড়ঙ্গের সন্ধানের নির্দেশ দেন তিনি। মাস তিনেক ধরে খোঁড়াখুড়ি করার পর হঠাত্ই গত শুক্রবার খোঁজ মেলে এক পুরনো দেওয়ালের। আর তা ভাঙতেই চোখ কপালে উঠে যায় উপস্থিত সকলের। আবিষ্কৃত হয় ১৫০ মিটার লম্বা একটি ব্রিটিশ আমলের বাঙ্কারের।
বিশাল বাঙ্কারটি তাক লেগে যাওয়ার মতো। ১৩টি ছোট বড় ঘর, প্রতিটা ঘরে যাওয়ার জন্য একাধিক রাস্তা। একেবারে একটা গোটা ব্যাটেলিয়ান থাকার মতো সুব্যবস্থা। বাঙ্কারের বাইরে ২০ ফুটের লম্বা গেট। ৫ হাজার বর্গফুটের এই বিশাল বাঙ্কারে ছিল গান স্টোর, ম্যাগাজিন স্টোর, শেল স্টোর এমনকী পাম্পও। আলো এবং হাওয়া ঢোকার সুব্যবস্থাও ছিল সেখানে। ছিল অসামান্য পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা।
ঐতিহাসিকরা জানিয়েছেন, বর্তমান রাজভবন ছিল উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ রাজকর্মচারী লর্ড রে-র বাসভবন। ১৮৮৫ সাল নাগাদ এই বাঙ্কারটি তৈরি করান তিনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর পুরনো সেই বাসভবনের সংস্কারের ফলে চাপা পড়ে যায় এই বাঙ্কারটি।
আরও পড়ুন:
সততার জোরে রক্ষী আজ বিমান সংস্থার অফিসার