Advertisement
E-Paper

বিয়ে করেই স্ত্রীকে বেচে দিল স্বামী!

১৪ বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ের পর নগদ ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে বেচে দিল স্বামী! পরে জখম অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। তার বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এখনও তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৬ ১০:৫৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

১৪ বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ের পর নগদ ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে বেচে দিল স্বামী! পরে জখম অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। তার বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এখনও তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের মালাদে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা দিল্লির বাসিন্দা। বাবা-মা নেই। ছোট থেকে দিল্লির একটি অনাথ আশ্রমেই সে বড় হয়েছে। তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাস খানেক আগে এক আত্মীয় অনাথ আশ্রম থেকে ছাড়িয়ে আনেন নাবালিকাকে। তারপর দিল্লিবাসী এক ব্যক্তির সঙ্গে জোরজবরদস্তি তার বিয়ে দেন সেই আত্মীয়। কয়েক মাস দিল্লিতে স্বামীর সঙ্গেই ছিল ওই নাবালিকা। তারপর চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে মুম্বই নিয়ে আসে অভিযুক্ত। এর পরেই মু্ম্বইয়ের মালাদে এক মহিলার কাছে ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে তাকে বেচে দেওয়া হয়। তারপর থেকে আর নাবালিকার সঙ্গে ওই ব্যক্তি কোনও যোগাযোগ রাখেনি। এ দিকে ক্রেতা ওই মহিলা নাবালিকার উপর অত্যাচার বাড়াতে থাকেন। বাড়ির যাবতীয় কাজ তাকে দিয়েই করানো হত। তার উপর ঠিক মতো খেতে দেওয়াও হত না। কাজে সামান্য ভুলচুক হলে জুটত মার। যা সহ্য করে মুখ বুজে পড়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না নাবালিকার। আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীদের সব খুলে বলে সে। নিরাপত্তারক্ষীরাই তাকে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু মুম্বইয়ের রাস্তাঘাট তার কাছে ছিল অজানা। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেও দিন কয়েক মুম্বইয়ের রাস্তাতেই ঘুরপাক খেতে হয়েছে তাকে। পরে পুলিশই তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সময় তার মাথা-সহ দেহের অন্যান্য অংশেও একাধিক চোট ছিল। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামী এবং আবাসনের ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: গোমাংস-গুজবে গণপিটুনি দুই মহিলাকে

Child marriage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy