লোকসভায় বিদায়ী ভাষণ যোগী আদিত্যনাথের। ছবি: পিটিআই।
একের পর এক হাই প্রোফাইল বৈঠক, সৌজন্য সাক্ষাৎ, আলাপচারিতা এবং সাংসদ হিসেবে চলতি লোকসভায় তাঁর শেষ ভাষণ— এত কিছু মিলিয়ে মঙ্গলবার দিনভর দিল্লিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রইলেন যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। সোমবারটা কাটিয়েছিলেন নিজের রাজধানী লখনউতে। কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর ব্যস্ত থাকতে হল দেশের রাজধানীতে। প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক তো বার বার খবরে উঠে এলই। লোকসভা থেকে বিদায় নিতে গিয়ে রাহুল-অখিলেশ জুটিকে যে মখমলি খোঁচাটা দিয়ে এলেন, তা নিয়েও বেশ আলোচনা চলল রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেন। দিনভর ঠাসা কর্মসূচির মাঝে এই বৈঠকই ছিল যোগীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও এ দিন তাঁর বৈঠক হয়। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গেও।
হাজার ব্যস্ততার মাঝেও মঙ্গলবার এই বৈঠক ছিল আদিত্যনাথের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: পিটিআই।
যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের সাংসদ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় এ বার লোকসভা ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বা বিধান পরিষদে নির্বাচিত হতে যোগীকে। তার আগে লোকসভা থেকে এ দিন বিদায় নিতে গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি সভায় ঢুকতেই বিজেপি সাংসদরা ‘জয় শ্রী রাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন। আদিত্যনাথের নাম এ দিনের বক্তাদের তালিকায় ছিল না। কিন্তু বিশেষ অনুরোধে স্পিকার সুমিত্রা মহাজন তাঁর নাম বক্তাদের তালিকায় ঢুকিয়ে নেন। চলতি লোকসভায় এ দিনের ভাষণই ছিল যোগী আদিত্যনাথের শেষ ভাষণ। সে ভাষণে রাহুল গাঁধী এবং অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করেন যোগী। রাহুল সে সময় লোকসভায় ছিলেন না। যোগী বলেন, ‘‘আমি রাহুল গাঁধীর চেয়ে এক বছরের ছোট আর অখিলেশ যাদবের চেয়ে এক বছরের বড়। তাঁদের জুটির মাঝখানে আমি ঢুকে পড়েছিলাম। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।’’ তবে লোকসভায় আদিত্যনাথের ভাষণে এ দিন শুধু কটাক্ষ ছিল না, স্মৃতি রোমন্থনও ছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন প্রথম বার এই সভায় এসেছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল ২৬ বছর, আমি তখন রোগা ছিলাম।’’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে হাসতে শুরু করেন সাংসদরা। স্পিকার সুমিত্রা মহাজন সংযোজন করেন, ‘‘এখনও কিন্তু আপনি খুব একটা মোটা নন।’’
আরও পড়ুন: বাবরি-রাম মন্দির মামলা আপোসে মিটিয়ে নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট, কিন্তু…
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy