Advertisement
E-Paper

হানাহানি বাড়ছেই, দায় নিচ্ছে না কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার লক্ষ্যে কেন্দ্র নানা ভাবে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করে। হাঙ্গামার আশঙ্কা থাকলে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সতর্কও করা হয়। সময়ে সময়ে বিশেষ ধরনের ‘অ্যাডভাইসরি’-ও পাঠানো হয়।’’

অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বাড়ছে গোটা দেশে। দৌড়ে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। ২০১৬-র তুলনায় ২০১৭-তে রাজ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পিছিয়ে নেই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিও। গত এক বছরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ও হত্যার ঘটনা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও অসমে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে দেশে যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাড়ে, আরও এক বার তা প্রমাণ হয়ে গেল।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও স্বীকার করে নিয়েছে, গত তিন বছরে দেশে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও তাতে মৃত্যু যথেষ্ট বেড়েছে। মন্ত্রকের হিসেবে ২০১৬-তে ৭০৩টি সংঘর্ষে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরে ৮২২টি সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন ১১১ জন। আহত হন ২,৩৮৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক মারা গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে, ৪৪ জন। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও গত এক বছরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বেড়েছে। দুই রাজ্যেই চলতি বছরে ভোট। ফলে আগামী ছ’মাসে ওই দু’রাজ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একাংশ।

‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি মার্কিন সংগঠন গত বছরই সতর্ক করেছিল যে, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সাম্প্রদায়িক হিংসা বাড়ছে। ১৯৮টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে তারা জানায়, সাম্প্রদায়িক হিংসার ক্ষেত্রে ভারত চার নম্বরে। ভারতের আগে কেবল সিরিয়া, নাইজেরিয়া ও ইরাক। দশম স্থানে পাকিস্তান। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানও বিশেষ আশাপ্রদ নয়। রাজ্যে ২০১৫ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসার ২৭টি ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৬-তে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২। আর ২০১৭ সালে ৫৮টি সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন ৯ জন।

গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বাড়ার কথা স্বীকার করে নিলেও মোদী সরকার অবশ্য তা রোখার দায় রাজ্যগুলির ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়েছে। যুক্তি, সংবিধান মোতাবেক আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও রাজ্যে অশান্তি ছড়ালে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রাজ্য সাহায্য চাইলে আধাসেনা পাঠানো হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার লক্ষ্যে কেন্দ্র নানা ভাবে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করে। হাঙ্গামার আশঙ্কা থাকলে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সতর্কও করা হয়। সময়ে সময়ে বিশেষ ধরনের ‘অ্যাডভাইসরি’-ও পাঠানো হয়।’’

কেন্দ্রের এই যুক্তি মানতে নারাজ কংগ্রেস। দলের নেতা আনন্দ শর্মার কথায়, ‘‘এটাই তো মোদীর নীতি। মুখে রাশ টানার কথা বললেও, আসলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির উপরে তাঁর কোনও রাশই নেই। যার পরিণামে এ ভাবে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাড়ছে এ দেশে।’’

Communal Violence Communalism Communal Killing Ministry of Home Affairs Uttar Pradesh BJP West Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy