সীমান্তে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হতে পারে, ধরেই নিচ্ছে ভারত। প্রস্তুতিও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
ফের তৎপরতা দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায়। বাহিনী বাড়ানো হচ্ছে ভারত-ভুটান সীমান্তে। খবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের। ডোকলামের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ভারত। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি ফের ঘনিয়ে ওঠা যে অস্বাভাবিক নয়, তা-ও ভারত জানে। সে কারণেই ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় আরও বড় বাহিনী রাখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) সূত্রে।
বাহিনীর ৫৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে বুধবার। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই এসএসবি-র ডিজি রজনীকান্ত মিশ্র সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান যে, ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে বাহিনীর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। ‘‘ডোকলামের অবস্থান ভারত-চিন সীমান্তে, ওই এলাকা আমরা দেখি না। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই আমরা এখন আগের চেয়েও সতর্ক ভাবে কাজ করছি।’’ বলেছেন এসএসবি-র ডিজি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ত্রিদেশীয় সীমান্তের (ভারত-ভুটান-চিন) ঠিক নীচেই যে এলাকা, সেখানে বাহিনী একটু বাড়ানো হচ্ছে।’’
শুধু বাহিনী বাড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না এসএসবি, পরিকাঠামো এবং প্রস্তুতিও দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, এসএসবি-র যে ব্যাটালিয়ন ভারত-ভুটান সীমান্তে কর্মরত, সেই ব্যাটালিয়নের সদর দফতর সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চল ইয়ুকসমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে বর্ডার আউটপোস্টের সংখ্যাও অত্যন্ত দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে ভাব করতে চান পাক সেনাপ্রধান
পাকিস্তান ফেরত সেই গীতার ঘর খুঁজতে টুইট সুষমার
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত-ভুটান-চিন-সীমান্তের ডোকলামে বেনজির সামরিক টানাপড়েনে জড়িয়েছিল ভারত চিন। ভুটানের এলাকায় ঢুকে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল চিন, যা আটকে দেয় ভারতীয় বাহিনী। তার জেরেই উত্তেজনা বাড়ে। দু’দেশের বাহিনী টানা ৭৩ দিন পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। কূটনৈতিক পথেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। কিন্তু ডোকলাম সীমান্তের ও পারে তথা ত্রিদেশীয় সীমান্তের খুব কাছাকাছি এলাকায় চিনা বাহিনীর তরফে নানা রকম তৎপরতার খবর মাঝে-মধ্যেই আসছে। প্রতিটি ঘটনার দিকে সতর্ক নজর রাখছে ভারত, খবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের। তবে শুধু নজর রেখেই ক্ষান্ত হচ্ছে না নয়াদিল্লি। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে ভারতীয় বাহিনীর তৎপরতাও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy