ফাইল চিত্র।
একটি বিমান দিয়ে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটটি উড়ান চালানো হয়। যে বিমানটি কাকভোরে কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার গিয়ে ফিরে আসে, সেটিই আবার বেঙ্গালুরু যায়। বেঙ্গালুরু থেকে হয়তো সেই বিমানই যাত্রী নিয়ে উড়ে যায় মুম্বই। এ ভাবে প্রতিটি বিমানকে যথাসম্ভব বেশি ব্যবহার করাটাই দস্তুর। সেটা মাথায় রেখেই বানানো হয় উড়ানসূচি।
এই অবস্থায় দুম করে তাদের ১১টি বিমান বসে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ইন্ডিগোর। ফেব্রুয়ারিতে ওড়া বন্ধ হয়েছিল তিনটি বিমানের। সোমবার বসেছে ৮টি। এই অবস্থায় যে বিমানগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কম ব্যবহার হচ্ছিল, সেগুলিকেই পুরো মাত্রায় ব্যবহার শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ইন্ডিগোকে বাতিল করতে হয়েছিল ৪৭টি উড়ান। বুধবার সংখ্যাটা কমে ৪২ হয়েছে। কলকাতা থেকে বুধবার বাতিল হয়েছে তাদের দিল্লি ও আগরতলার উড়ান। আশঙ্কা, বৃহস্পতিবারেও ওই দু’টি উড়ান বাতিল করতে হবে। গো-এয়ারের তিনটি বিমান বসায় বুধবার বাতিল করতে হয় ছ’টি উড়ান। বৃহস্পতিবার থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত তাদের ১৮টি উড়ান বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা থেকে গো-এয়ারের ভুবনেশ্বর ও লখনউয়ের উড়ান রয়েছে।
সমস্যা দেখা দিয়েছে নতুন এয়ারবাস ৩২০-নিও বিমান নিয়ে। সেই বিমানের মধ্যে যেগুলিতে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি-র ইঞ্জিন বসানো রয়েছে, তাতে কিছু ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিয়েছে। ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই ৩২টি এবং গো ১৩টি নিও বিমান কিনে ফেলেছে। ইন্ডিগোর ১১টি এবং গো-এর তিনটি বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা, আগামী দিনে বাকি বিমানে একই সমস্যা দেখা দিলে আরও হিমশিম অবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy