Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভারত-ইজরায়েল যৌথ মিসাইল মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দিল লক্ষ্যবস্তুকে

ক্ষেপণাস্ত্র ক্লাব এমটিসিআর-এর সদস্য হওয়ার পর প্রথম বার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। বৃহস্পতিবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে মাঝারি পাল্লার এই ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ১২:৫২
Share: Save:

ক্ষেপণাস্ত্র ক্লাব এমটিসিআর-এর সদস্য হওয়ার পর প্রথম বার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। বৃহস্পতিবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে মাঝারি পাল্লার এই ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। ভারত-ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হেনেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।

সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একটি চালকবিহীন বিমানের সাহায্যে আকাশে একটি লক্ষ্যবস্তুকে ওড়ানো হয়েছিল। সেই লক্ষ্যবস্তু বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসছিল। রেডার থেকে সঙ্কেত পেয়ে স্বয়ংক্রিয় মিসাইল সিস্টেম থেকে নিক্ষিপ্ত হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। মাঝ আকাশেই আঘাত হানে লক্ষ্যে। ডিআরডিও-র কর্তারা এই উৎক্ষেপণে উচ্ছ্বসিত। ‘‘সব রকম মাপকাঠিতেই এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ছিল একটি অসামান্য সাফল্য’’, বলা হয়েছে ডিআরডিও-র তরফে।

ডিআরডিও-র অধীনস্থ ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিচার্স ল্যাবরেটরিজ (ডিআরডিএল) এবং ইজরায়েলের সংস্থা ইজরায়েল এ্যারোস্পোস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই) যৌথ উদ্যোগে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারত-ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে যা তৈরি করেছে, তা শুধু মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, একটি স্বয়ংক্রিয় আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা। মিসাইল ব্যাটারি ছাড়াও এতে রয়েছে মাল্টি ফাংশনাল সারভিল্যান্স অ্যান্ড থ্রেট অ্যালার্ট রেডার বা এমএফ স্টার। দেশের আকাশসীমায় কোনও সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই রেডার সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করে। সতর্কবার্তা জারি হয়। রেডার সঙ্কেত অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় ভাবে ক্ষেপমাস্ত্র ছুটে যায় আকাশপথে ধেয়ে আসা বিপদ রুখতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, আকাশপথে হওয়া যে কোনও হামলাকে রুখতে সক্ষম এই ভূমি-থেকে-আকাশ মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি। ৫০ কিমি থেকে ৭০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ করে কাশ্মীর জিততে পারবে না পাকিস্তান: ফের বিস্ফোরক হিনা

বৃহস্পতিবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের আগে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। লঞ্চ প্যাডের আড়াই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী ৩৬৫২ জনকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপড়া জেলার উপকূলে মাছ ধরতে যাওয়ায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Missile Indo-Israel Test-fire Odisha Coast
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE