নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ সেনাবাহিনীতে। ছবি: সংগৃহীত।
সীমান্তে জওয়ানদের খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ তুলে কাল ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিএসএফ কনস্টেবল তেজবাহাদুর যাদব। জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সমস্যার দিকে নজর দিলে ভাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সরানো হয়েছে ওই জওয়ানকে। অতীতে ওই জওয়ান নিয়ম ভেঙেছেন বলেও জানিয়েছে বিএসএফ। কিন্তু জওয়ানদের খাবার সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়েও তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে আগামিকালের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
ভিডিওয় তেজবাহাদুর যাদব দাবি করেন, সীমান্তে জওয়ানরা খুব অল্প ও খারাপ মানের খাবার পান। সরকারের পাঠানো জওয়ানদের জন্য বরাদ্দ খাবার কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানান। আজ তেজবাহাদুরের অতীতের কার্যকলাপ নিয়ে তথ্য দিয়েছে বিএসএফ। তাদের দাবি, ২০ বছরের চাকরিজীবনে নিয়ম ভাঙার অপরাধে চার বার শাস্তি পেয়েছেন যাদব। কোর্ট মার্শালের রায়ে এক বার ৮৯ দিন জেলও খাটতে হয়েছে। শুধু পরিবার-সন্তানের কথা ভেবে যাদবকে বরখাস্ত করা হয়নি।
বাহিনীর এক অফিসার মঙ্গলবার জানান, যে খাবার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জওয়ানরা তা বরাবরই খেয়ে আসেন। এখনও কেউ অভিযোগ করেন না। বিএসএফের দাবি, পর্যবেক্ষণের জন্য ডিআইজি এলে তেজবাহাদুর তাঁকে সব ঠিক আছে বলে জানিয়েছিলেন। ফলে হঠাৎ খাবারের মান নিয়ে কেন প্রতিবাদী হলেন যাদব, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বাহিনীর আইজি ডি কে উপাধ্যায় জানান, শীতে তরি-তরকারির সরবরাহ কম থাকে। তখন জওয়ান থেকে অফিসার— সবাইকে টিনে প্যাক করা খাবারই খেতে হয়। তার মান খারাপ হয় না। যাদবের বিরুদ্ধে ফের তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের নিয়ম মেনে রাজৌরিতে মোতায়েন তাঁর ব্যাটেলিয়ন থেকে সরিয়ে অন্য ব্যাটেলিয়নে পাঠানো হয়েছে তেজবাহাদুরকে।
জম্মুতে মোতায়েন বিএসএফের আইজি ডি কে উপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘তেজবাহাদুরের নালিশকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও হচ্ছে। ওই ব্যাটেলিয়নের অন্য কোনও জওয়ান খাবার নিয়ে আপত্তি করেননি বলেই তদন্তকারীরা জেনেছেন।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ টুইটারে বলেন, ‘‘এক বিএসএফ জওয়ানের দুর্দশা নিয়ে ভিডিওটি দেখেছি। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবকে আগামিকালের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বিএসএফ। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy