আনন্দের প্রহর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বদলে গেল গভীর উদ্বেগে।
টানা দু’মাস অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ হচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। রবিবারই এডিএমকে-র তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, জয়ললিতা এ বার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। খুব দ্রুত বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সন্ধেবেলাই আবার সব ওলটপালোট। নতুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। খবরটা ছড়ানো মাত্রই জনতার ঢল চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের সামনে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিতেও সমান জনমোহিনী নেত্রী, প্রিয় ‘আম্মা’র খবর জানতে উদ্বেল তাঁরা। হাসপাতালের বাইরে তড়িঘড়ি মোতায়েন হয় ন’কোম্পানি র্যাফ। শুরু হয়ে যায় কান্নাকাটি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, জয়ার অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর উপর নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল।
কয়েক ঘণ্টা আগেই কিন্তু দলের মুখপাত্র সি পন্নাইয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, শনিবার এইমসের চিকিৎসকেরা দিল্লি থেকে এসে আম্মাকে দেখে গিয়েছেন। তখন তাঁরাও বলেছিলেন, অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন আম্মা। নিজের হাতে খাবার খাচ্ছেন, হাল্কা ব্যায়াম করছেন, ফিজিওথেরাপিও চলছে তাঁর। কিন্তু রবিবার সন্ধের পর থেকে আবার শুরু হল উৎকণ্ঠা। রাতেই রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওকে ফোন করে এডিএমকে নেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রাও এ দিন নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে মুম্বই গিয়েছিলেন। রাতেই তড়িঘড়ি চেন্নাই ফিরে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে ফোন কেরছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বেঙ্কাইয়া নায়ডু— সকলেই টুইট করে ৬৮ বছর বয়সী জয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy