জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আফজল গুরুর ফাঁসি বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কের জল আরও গড়াল। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট কানহিয়া কুমারকে।
রাজনাথ সিংহের টুইটের পর আজ এই নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতির বিবৃতি, ‘‘ভারত মাতার কোনও অপমান বরদাস্ত করবে না দেশ।’’
স্মৃতি ইরানির আগে অবশ্য টুইটারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘‘দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা নিয়ে অকারণ প্রশ্ন তুলে কেউ যদি ভারত বিরোধী স্লোগান তোলে, কখনই তা বরদাস্ত করা হবে না।’’ টুইটে জানিয়েছেন রাজনাথ।
বৃহস্পতিবার, বিজেপি বিধায়ক মহেশ গুরুর অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষের নেওয়ার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ‘‘দ্য কান্ট্রি উইদাউট পোস্ট অফিস’’ নামে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ। সেই সমাবেশে আফজল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করা হয়। পার্লামেন্ট আক্রমণের অভিযোগে ২০১৩ সালের এই দিনটিতেই ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর। অভিযোগ, সমাবেশে দেশ বিরোধী স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
জেএনইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিনা অনুমতিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পড়ুয়ারা। ‘এই আচরণ শৃঙখলাভঙ্গের নির্দশন’, মন্তব্য উপাচার্য জগদীশ কুমারের।
আরও পড়ুন-দীনদয়ালকে অবতার বানানোর মহাযজ্ঞে আরএসএস
আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি অবশ্য প্রশ্রয়ের অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে এসএফআই জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।
তবে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হঠতে নারাজ জেএনইউএসইউ। তাদের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক সম্মলনে বলেছেন ‘‘ইংরেজদের কাছে যারা ক্ষমা চেয়েছিল, তাদের কাছ থেকে আমরা দেশপ্রেম শিখব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy