কার্তি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
কার্তি চিদম্বরমকে নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে দুই লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
আগামিকালই শেষ হচ্ছে কার্তির পাঁচ দিনের সিবিআই-হেফাজত। সিবিআই সূত্রের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না চিদম্বরম-পুত্র। প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। জেরার অধিকাংশ সময়েই নীরব থাকছেন। এই অবস্থায় আগামিকাল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস বিশেষ আদালতে কার্তির হেফাজত বাড়াতে আর্জি জানাবে সিবিআই। আর গোটা মামলাটিই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা তা বোঝাতে সওয়াল করবেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
কার্তি আজই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তাঁকে পাঠানো ইডির শমন খারিজ করতে। সেখানে জানান, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় তদন্তকারীদের সঙ্গে পুরো সহযোগিতা করছেন তিনি। তবে তাঁকে এমন কিছু ব্যাপারে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, গত মে মাসে করা এফআইআরে যার উল্লেখই নেই। আইনজীবী কপিল সিব্বল আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চের সামনে বিষয়টির উল্লেখ করেন। শীর্ষ আদালত আগামিকালই মামলাটি শুনতে চলেছে।
কার্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা আইএনএক্স মিডিয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষ চেয়েছিলেন তিনি। ইন্দ্রাণীর দাবি, ১০ লক্ষ ডলার ঘুষ চেয়েছিলেন চিদম্বরম-পুত্র। কিন্তু তারা কার্তির চারটি সংস্থাকে ৭ লক্ষ ডলার দিয়েছেন। সিবিআইয়ের দাবি, ইন্দ্রাণীর বয়ান মিলিয়ে ৭ লক্ষ ডলার ঘুষের বিলও মিলেছে। কিন্তু সিবিআইয়ের কাছে টাকা হাতবদলের প্রমাণ নেই। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, কার্তির একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা কোনও রাজনীতিকের কাছে পৌঁছেছে। তিনি পি চিদম্বরম কিনা, তা নিয়েও জল্পনা চলছে। ইডির অভিযোগ, ২০০৭-এ আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি লগ্নি আনতে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy