লালুপ্রসাদ যাদব।
ভোরে প্রাতর্ভ্রমণ হচ্ছে না। তাই মন খারাপ লালুর। আর দুইয়ের ফলে রক্তে চিনির মাত্রাও উপরের দিকে। হাসপাতালের ডাক্তাররা ইনসুলিন দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু ‘সুঁই’-এ বেজায় ভয় আরজেডি নেতার। বলছেন, ওষুধ খাবেন। ইনজেকশন নেবেন না।
ক’দিন ধরে অসুস্থতার কারণে বিরসা মুণ্ডা জেল থেকে লালুপ্রসাদের ঠাঁই হয়েছে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা রিমসে। তার আগে বিরসা মুণ্ডা জেলের মাঠে লালু রোজ ভোরে আধ ঘন্টা হাঁটতেন। রিমসে সেই সুবিধা নেই। শারীরিক কারণেই তাঁর হাঁটা জরুরি বলে জানান চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ক’দিনে লালুর সুগারের মাত্রা বেড়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর রক্তচাপ ও ক্রিয়েটিন ওঠানামা করছে। সুপার বলেন, ‘‘লালুজির সুগার ১৬০ থেকে ১৮০-এর মধ্যে ঘুরছে। ওঁকে ইনসুলিন দেওয়া দরকার। কিন্তু উনি নারাজ।’’
আরও পড়ুন: জেএনইউ নিয়ে চিঠি
হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে অবশ্য লালু খোশমেজাজেই আছেন বলে জানান ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সরা। শনিবার ১৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশের পর খানিক স্ট্রেস তৈরি হয়েছে। তবে তিনি লালুপ্রসাদ বলেই তার বিশেষ বহিঃপ্রকাশ নেই। বরং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মাঝেমধ্যে ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে রঙ্গ-রসিকতাও করছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বাইরে থেকে তাঁকে দেখলে তাঁর মনের মধ্যে কী চলছে তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রেশার ও সুগারেই ঘটছে তার প্রতিফলন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy