নীতীশের পর এ বার লালু।
কেন্দ্রের নোট-বাতিলের ঘোষণার প্রতিবাদে পটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় অসুস্থতার জন্য হাজির থাকতে পারবেন না বলে জানালেন আরজেডি প্রধান। একই কারণে মমতার সভায় যেতে পারবেন না বলে আগে জানিয়েছিলেন নীতীশ। তবে লালু আজ জানান, নিজে যেতে না পারলেও দলের প্রতিনিধি হিসেবে ছেলে তেজস্বী বা তেজপ্রতাপকে মমতার মঞ্চে পাঠাতে পারেন।
নোট-বাতিল নিয়ে বিহারে শাসক মহাজোটের দুই শীর্ষনেতার মধ্যে বিভেদ আরও স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, এ দিন ফোনে নীতীশের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। অন্য দিকে, লালুপ্রসাদ কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নোট-বাতিলের ঘোষণার প্রতিবাদে ৩০ নভেম্বর পটনার গর্দনিবাগে জনসভা করবেন মমতা। তাঁর নির্দেশে সম্প্রতি তৃণমূল নেতা মুকুল রায় পটনায় লালুপ্রসাদের বাড়িতে যান। মুকুলবাবুর ফোনে মমতার সঙ্গে কথা বলেন লালু। তাঁকে সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। দলীয় সূত্রে খবর, প্রথমে মমতার সভামঞ্চে হাজির থাকার কথা জানিয়েছিলেন লালু। তবে এ দিন তিনি জানান, অসুস্থতার জন্য সেখানে যেতে পারবেন না। লালু জানিয়েছেন, নীতিগত ভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ে তাঁর সমর্থন রয়েছে।
নীতীশ বা লালুকে মঞ্চে না পেলেও মাধেপুরার সাংসদ তথা জনঅধিকার পার্টির নেতা পাপ্পু যাদবকে পাবেন মমতা। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বর্তমানে বিহারে পাপ্পু যাদবের খুব বেশি প্রভাব না থাকলেও পটনায় ‘সভা ভরানোর’ মতো লোক তাঁর হাতে রয়েছে।
বিহার বিধানসভার কাছেই গর্দনিবাগ এলাকা। সেখানে মমতার সভা নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়েছে। ৩০ নভেম্বর বিহার বিধানসভায় অধিবেশন রয়েছে। বিভিন্ন দলের বিধায়ক বিধানসভায় থাকবেন। মমতা মঞ্চ থেকে বিজেপির পাশাপাশি নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ করেন কি না, জানতে উৎসুক বিরোধীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy