তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে গিয়ে মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মাদ্রাসাগুলির বিরোধিতায় মোদীর সেই ইচ্ছে পূরণ সংশয়ের মুখে।
চলতি সপ্তাহের শেষেই দু’দিনের সফরে বারাণসীতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। গঙ্গার উপরে দু’টি নতুন সেতু, তাঁতিদের কেন্দ্র, নতুন বুদ্ধ থিম পার্কের উদ্বোধন করবেন এই সফরে। গত কাল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন বারাণসীতে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা অবৈধ ঘোষিত হওয়ার পরে মুসলিম মহিলাদের মন জয়ের জন্যেও একটি সভা হোক। সেই অনুযায়ী যোগী সরকার তিন দিন আগে এক নির্দেশিকা জারি করে বলে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় ৭০০ জন মুসলিম মহিলার বসার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি মাদ্রাসাকে ২৫ জন করে মহিলাকে সভাস্থলে আনতে হবে। সোমবার প্রস্তুতি বৈঠক হবে। কিন্তু বেঁকে বসেছে মাদ্রাসাগুলিই। যার জেরে গত কাল আর একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সোমবারের বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লির সুরেই সুর মেলাল ঢাকা
মাদ্রাসার শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিওয়ান সাহেব জামান খানের সাফ কথা, ‘‘মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিজেপির কোনও কর্মী সংগঠন নয়। ফলে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ভিড় জড়ো করাটা আমাদের কাজ নয়।’’ বিজেপি অবশ্য বলছে, কারও উপরে কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। মুসলিম মহিলারা এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসতে চান। তিন তালাক নিয়ে রায়ের পরে মুসলিম মহিলারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। মাদ্রাসার কৃতি ছাত্রদেরও পুরস্কার দেবেন মোদী। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘আসলে সুপ্রিম কোর্টের রায় এখনও মানসিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি সংখ্যালঘুদের একাংশ। সে কারণেই তারা বিরোধিতা করছে।’’
মাদ্রাসার শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের যদিও বক্তব্য, এই যোগী সরকারই মাদ্রাসাগুলিতে স্বাধীনতা দিবস পালনের ভিডিও করার নির্দেশ জারি করেছিল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে কি না দেখতে। রাজ্য সরকার এক দিকে মুসলিমদের দেশপ্রেম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে, এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর চাপে ভিড় জড়ো করার দায়িত্ব দিচ্ছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy