নবান্নে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
সংসদে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে সরকার। মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সেনা নামার বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার সারা রাত নবান্ন না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। টানা ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে কাটানোর পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নবান্ন ছেড়েছেন। সে সময়ই কেন্দ্রকে ফের এক দফা আক্রমণ করে এই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন থেকে বেরনোর সময় এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমি নবান্ন ছেড়ে যাব না বলে জানিয়েছিলাম। আমরা কথা রেখেছি। কিন্তু এখনও মাঝেমধ্যেই সেনা নামছে বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি। কারণটা কী, আমরা বুঝতে পারছি না।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সংসদে আজ জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারেরর অনুমতি নিয়েই নাকি সেনা মহড়া দিতে নেমেছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, সংসদে পুরোপুরি ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।’’ ২৩ বছর সাংসদ হিসেবে এবং দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, কিন্তু এত ‘দাম্ভিক’ সরকার তিনি আগে কখনও দেখেননি, মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেনা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘নবান্নের ২০০ মিটারের মধ্যে, স্পর্শকাতর এলাকায় সেনা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি যদি পুলিশের ১০টা গাড়ি পাঠিয়ে দিই, ভাল হবে তো?’’
নোট বাতিলের পর থেকে গোটা দেশে সরকার বিরোধী জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই, কেন্দ্রীয় সরকার শাসানোর চেষ্টা করছে, ইঙ্গিত তৃণমূলনেত্রীর। অন্য কোনও রাজ্যে সেনা নামেনি, শুধু বাংলায় কেন নামল? প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন কেন্দ্রীয় সরকারের এমন দিশাহীন দাম্ভিকতা দেখিনি। একমাত্র বাংলায় কেন হল? তার কারণ আমরা মানুষের জন্য কথা বলছি।’’ প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুধু মোদী খাবে, আর সবাই না খেয়ে থাকবে, এটা ভারতে চলবে না।’’
অনুমোদন ছিল না নবান্নের, সেনার দাবি ফের উড়িয়ে দাবি রাজ্যের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy