গুজরাতে দলিত নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন আগেই। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে আরও চাপে ফেলতে এ বার উনায় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদাররা গুজরাতে পৌঁছবেন।
উনার ঘটনাকে সংগঠিত অপরাধ হিসাবে তুলে ধরেছিলেন মমতা। দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার গুজরাতে নির্যাতিত দলিত পরিবারগুলির কাছে তৃণমূলের সাংসদরা পৌঁছবেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘‘তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার যাচ্ছে রাজকোট ও উনায়।’’
তবে আজই সেখানে গিয়ে নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ কেজরীবাল। রাজকোটের হাসপাতালেও যান তিনি। গুজরাতের বিজেপি সরকারকে ‘দলিত বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন আপ প্রধান। সংযুক্ত জনতা দল ও বাম নেতারাও দলিত নিগ্রহের বিষয় নিয়ে উনায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এ দিকে, বিজেপির সামনে এই চাপের মধ্যেই উনা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন আরও তিন জন দলিত যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গুজরাতের বোটাড জেলার রানপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এর পরে রাজ্যে উত্তেজনার পারদ আর এক প্রস্ত চড়েছে। তিন যুবককে ভাবনগর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন বহু দলিত। উনা কাণ্ডের প্রতিবাদে এই নিয়ে ২০ জনেরও বেশি দলিত যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ জুলাই। গুজরাতের গির-সোমনাথ জেলার উনা শহরে গরুর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করতে গিয়ে মার খান চার দলিত যুবক। নগ্ন করে রাস্তায় তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মোদীর রাজ্যে।
এ দিনও গুজরাতের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। বডোদরায় টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। আমদাবাদ জেলায় কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল বেরোয় পাটান এলাকাতেও। অশান্তির আশঙ্কায় গির সোমনাথ জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা জারি থাকবে।
দলিত নিগ্রহে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন কেজরীবাল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘উনায় পুলিশের সামনেই দলিত যুবকদের পেটানো হয়। পুলিশ নীরব থাকল কেন? তার মানে প্রশাসনের উপরমহলের নির্দেশেই এমন ঘটেছে।’’
এ দিন রাজকোট হাসপাতালে হেড কনস্টেবল পঙ্কজ আমরেলিয়া খুনে অভিযুক্ত দলিত যুবক কান্তি মুলজি ভালার সঙ্গে দেখা করে বিতর্কেও জড়িয়েছেন কেজরীবাল। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ খুনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে কেন দেখা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরী অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি আমরেলিতে পঙ্কজের বাড়ির লোকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy