Advertisement
E-Paper

কব্জি কাটা ছবি দিয়ে ফেসবুকে সুইসাইড নোট পোস্ট!

ফেসবুকে সবেমাত্র অন হয়েছেন বন্ধুরা। কথা চলাকালীনই হঠাৎ এক নোটিফিকেশন। এক বন্ধুর বার্তা ‘আমি সুইসাইড করতে চলেছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ সঙ্গে তাঁর রক্তাক্ত একটি ছবিও। ব্যস, তার পরেই ফেসবুক থেকে অফ হয়ে যান তিনি। এই পোস্ট দেখে আর ঠিক থাকতে পারেননি বন্ধুরা। পুলিশে যোগাযোগ করা হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ১৮:২৫

ফেসবুকে সবেমাত্র অন হয়েছেন বন্ধুরা। কথা চলাকালীনই হঠাৎ এক নোটিফিকেশন। এক বন্ধুর বার্তা ‘আমি সুইসাইড করতে চলেছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ সঙ্গে তাঁর রক্তাক্ত একটি ছবিও। ব্যস, তার পরেই ফেসবুক থেকে অফ হয়ে যান তিনি। এই পোস্ট দেখে আর ঠিক থাকতে পারেননি বন্ধুরা। পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে গুড়গাঁওয়ের ওই যুবককে। আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। গত মঙ্গলবারের ঘটনা।

আরও পড়ুন: ফ্রিজ বদলের বায়না, সাড়াও দিলেন সুষমা

পুলিশ সূত্রে খবর, বরুণ মালিক নামে ওই যুবক একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। সম্প্রতি অসুস্থ বরুণকে বাঁচানোর জন্য তাঁর মা নিজের একটা কিডনি ছেলেকে দিয়েছিলেন। আর সেই কিডনি ট্র্যান্সপ্ল্যানটেশন করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছিল মায়ের। এর পর থেকেই বরুণ অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। ঘটনার দিন বরুণ ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গেই কথা বলছিলেন। প্রথম থেকে তাঁর কথার মধ্যে অসংলগ্ন ব্যাপারটা টের পাচ্ছিলেন বন্ধুরা। কথা বলতে বলতে হঠাৎই নিজের টাইমলাইনে সুইসাইডের খবরটা পোস্ট করেন। লেখেন, ‘‘সজ্ঞানে আমি আমার জীবনটা শেষ করতে চলেছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। আমি ভীষণ একা। জীবনটা শেষ করে দেওয়া ছাড়া আমার কাছে আর কোনও উপায় নেই।’’ সঙ্গে কবজি কাটা অবস্থায় রক্তাক্ত এক ছবি। সেই বার্তা ফুটে ওঠে বন্ধুদের ফেসবুক ওয়ালেও। যা দেখার পরে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না বন্ধুরা। বার বার ফোন করলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বরুণের জন্য সাহায্য চেয়ে তাঁরাও ফেসবুকে আবেদন জানাতে থাকেন। ফেসবুকে বরুণের বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় গুড়গাঁও পুলিশকেও। পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত, অচৈতন্য অবস্থায় বরুণকে উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, বরুণ কব্জির শিরার প্রায় পুরোটাই কেটে ফেলেছিলেন। অনেক ক্ষণ এই ভাবে থাকায় প্রচুর রক্তপাত হয়। বাঁচানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি।

suicide Varun Malik Facebook
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy