ঘড়িতে তখন ভোর পাঁচটা ছেচ্চল্লিশ। এগারো জন যাত্রী এবং কো-পাইলটকে সঙ্গে নিয়ে সবে জুহু বিমান বন্দরের ‘টেক-অফ’ করার জন্য মূল রানওয়ের দিকে যাচ্ছিলেন হেলিকপ্টার পবন হংসের চালক ক্যাপটেন আর এস নন্দাল। হঠাৎ চোখ পড়ল আকাশ থেকে নেমে আসছে ছ’টি প্যারা গ্লাইডার। ক্যাপ্টেন নন্দালের কথায়,‘ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দেড় হাজার ফুট উচ্চতায় ছ’টি প্যারাগ্লাইডারকে চোখে পড়ে’।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ‘টেক অফ’ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং খবর দেন বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ (এটিসি) বিভাগকে। এর পরই জুহু সহ মুম্বইয়ের সমস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। স্থানীয় পুলিশ এবং অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
সান্তাক্রজ বন্দরের প্রবীণ আধিকারিক শান্তনু পাওয়ার এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘গত ১৩ জানুয়ারি এই প্যারাগ্লাইডার চোখে পড়ার বিষয়টি ঘটে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ঘটনা মোটেই হালকা ভাবে নেওয়া যায় না।’
২০০৮-এর মুম্বই হামলাকারী আজমল কসাবরা জলপথে শহরে প্রবেশ করেছিল। এ বার আকাশ পথে জঙ্গি হানার সতর্কতা জারি হয়েছে আগেই। তার মধ্যে সামনে প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাঁ। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, আইএস টার্গেটে আছে ওই দিনের অনুষ্ঠান। এ নিয়ে কড়া সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই প্যারাগ্লাইডার রহস্য নতুন করে কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের।
তবে, জুহু বিমানবন্দরের আকাশে চোখে পড়া বস্তুকে এখনই ‘প্যারাগ্লাইডার’ বলে মানতে নারাজ এটিসি। তাদের দাবি, ঘটনার ঠিক আগেই যে বিমানটি উড়ে গেছে তার চালকের সঙ্গে পরে কথা হয়েছিল। তিনি এ ধরণের কিছু দেখতে পান নি। তবু সব রকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিছে এটিসি কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy