ঠিক যেন গতকালের পুনঃপ্রচার।
স্থান, কাল, পাত্র এমনকী, অনাস্থা প্রস্তাবের বয়ান ও তা বাতিল করার যুক্তি— সবই এক থাকল। আজও বিরোধীদের একাংশের হট্টগোলে বাতিল হল অধিবেশন। জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করলেন না স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। কাল ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে দু’দল।
শুরু থেকেই টিডিপি-র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পাশে রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেরা। তা-ও আজ বিরোধীদের সমর্থন নিশ্চিত করতে দলীয় সাংসদদের ফোনে নির্দেশ দেন চন্দ্রবাবু।
সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হতেই বিক্ষোভ শুরু করেন এডিএমকে এবং টিআরএস সাংসদেরা। বন্ধ হয়ে যায় অধিবেশন। বেলা ১২টা নাগাদ অধিবেশন শুরু হলে ফের হট্টগোল শুরু হয়। সিরিয়ায় কর্মরত ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতেও পারেননি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এর পরেই অধিবেশন মুলতুবি করার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বলেন ‘‘দু’টি অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়লেও, লোকসভায় শৃঙ্খলা না থাকায় প্রস্তাব বাতিল করা হচ্ছে।’’
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘স্পিকারের দায়িত্ব লোকসভা কক্ষে শৃঙ্খলা আনা। তা তিনি করছেন না।’’ সংসদে মুখ খোলার সুযোগ না পেয়ে আজ ফের কালো টাকা, নীরব মোদী কাণ্ড নিয়ে সরব হয় তৃণমূল।
অধিবেশন না চলায় রাজনৈতিক ভাবে অখুশি নয় বিজেপি। যদিও বলা হচ্ছে, বিজেপি চায়, আলোচনা হোক সংসদে। বিরোধীদের মতে, বিজেপির ‘উস্কানি’তেই হট্টগোল করছে এডিএমকে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘বিরোধীদের ভয়ে সরকার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’’
আজ রাজ্যসভার অধিবেশনও কিছুক্ষণ চলার পরে বন্ধ হয়ে যায়। টানা অধিবেশন মুলতুবিতে ক্ষুব্ধ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের সম্মানে আগামিকালের নৈশভোজ বাতিল করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy