প্রতীকী ছবি।
এমনিতেই রাজনৈতিক ডামাডোলে উত্তাল তামিলনাড়ু। তার মধ্যে সাত বছরের এক নাবালিকার ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনা শিউরে দিল সকলকে।
ওই নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে খুন এবং পরে তাকে পুড়িয়ে, দেহ ব্যাগবন্দি করে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা কবুলও করেছে সে। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের মুগালিভক্কম এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত ওই নাবালিকা। বিকেলবেলা তার বাবা-মা সাংসারিক কাজে একটি বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় সে অ্যাপার্টমেন্টের নীচে খেলাধুলো করছিল। কিন্তু, সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে তাঁরা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। প্রতিবেশীদের কেউই কোনও হদিশ দিতে পারেননি। তাঁদের বেশির ভাগই জানিয়েছিলেন, ‘এই তো একটু আগে এখানে খেলছিল! কোথায় গেল?’ ফের সকলে মিলে শুরু হয় খোঁজ। এর পর থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকা থেকেই তুষ্যন্ত নামে এক যুবকে আটক করে। জেরায় সে নিজের অপরাধের কথা কবুল করে।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িতেই ট্রাঙ্কে স্বামীর দেহ রয়েছে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি!’
গোটা ঘটনার কথা জানতে পেরে শিউরে ওঠেন পুলিশ কর্তারা। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বিরোধী দল ডিএমকের অভিযোগ, পুলিশি অপদার্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী নাকি শাসক দলের প্রধান কাকে রিপোর্ট করতে হবে পুলিশের মধ্যে একটা দোলাচল দেখা দিয়েছে। আর তার জেরেই এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটল রাজ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy