— ফাইল চিত্র।
গঙ্গায় বর্জ্য ফেললেই গুণতে হবে ৫০ হাজার টাকা। ৫০০ মিটারের মধ্যে ফেলা যাবে না আবর্জনাও। পাড়ের ১০০ মিটার পর্যন্ত চলবে না নির্মাণকাজও। হরিদ্বার থেকে উন্নাও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ধরে বয়ে চলা গঙ্গায় এই সিদ্ধান্ত লাগু হবে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের আজকের রায়ে খুশি পরিবেশবিদরা।
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি স্বতানতের কুমার রায় দিয়েছেন, ওই এলাকার গঙ্গায় বর্জ্য সাফাইয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দু’বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। কানপুরের ট্যানারিগুলিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে উন্নাওয়ের লেদার পার্ক কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নিতেও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া, গঙ্গা ও তার শাখা নদীগুলির বিভিন্ন ঘাটে যে ধর্মীয় কাজকর্ম হয়, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির জন্যও উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণ আটকানোর কাজ নিয়ে গঙ্গাকে পাঁচটি অংশে ভাগ করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। নদীর প্রথম অংশ— গোমুখ থেকে হরিদ্বার, দ্বিতীয় অংশ হরিদ্বার থেকে উন্নাও, তৃতীয় অংশ উন্নাও থেকে উত্তরপ্রদেশের সীমা, চতুর্থ অংশ উত্তরপ্রদেশের সীমা থেকে ঝাড়খণ্ডের সীমা, শেষ অংশ হিসেবে ঝাড়খণ্ডের সীমা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বয়ে চলা নদীকে নিয়ে দু’বছর আগেই রায় দিয়েছিল আদালত। আজ নদীর দ্বিতীয় অংশে আশেপাশের কারখানাগুলি যাতে মাটির নীচ থেকে যেমন খুশি জল না তোলে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশ ঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব, উত্তরপ্রদেশ সরকারের অফিসার ও আইআইটি-র অধ্যাপকদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে পরিবেশ আদালত। নিয়মিত ভাবে তাদের রিপোর্ট দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy