Advertisement
E-Paper

বিহারে ধৃত লস্কর জঙ্গি, খোঁজ অর্থ ভাণ্ডারের

দীনেশ গর্গ এবং আদেশ কুমার জৈন নামে দুই হাওয়ালা কারবারির ডেরায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা-সহ দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ, নোট গণনার মেশিন এবং বিভিন্ন দেশের নোট উদ্ধার করা হয়।

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হার থেকে লস্কর-ই-তইবার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত কাল এই যুবককে গ্রেফতারের পরেই উত্তরপ্রদেশে জঙ্গিদের আর্থিক নেটওয়ার্কের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।

ধৃত মাহফুজ আলমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত কালই উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের চারটি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। দীনেশ গর্গ এবং আদেশ কুমার জৈন নামে দুই হাওয়ালা কারবারির ডেরায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা-সহ দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ, নোট গণনার মেশিন এবং বিভিন্ন দেশের নোট উদ্ধার করা হয়।

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাহফুজ আলমের বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়। বছর বাইশের মাহফুজ দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের স্থানীয় ‘অপারেটর’ হিসেবে কাজ করছিল। বিহারে লস্করের ‘স্লিপার সেল’ তৈরিতে সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। বেশ কিছুদিন ধরেই এনআইএ তার গতিবিধির উপরে নজর রেখেছিল।

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে লস্করের অর্থ-ভাণ্ডারের উৎস খোঁজা শুরু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা শেখ আব্দুল নইম ওরফে সোহেল খানকে গ্রেফতার করে এনআইএ। দিল্লিকে কেন্দ্র করে নইম বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরে নেটওয়ার্ক তৈরি করছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই নেটওয়ার্কের হয়ে বিহারে কাজ করত মাহফুজ। লস্করের লোকেদের গাড়ি থেকে থাকা, যাবতীয় পরিষেবার ব্যবস্থা করত সে-ই।

পাশাপাশি, যে কোনও সহায়তাও মাহফুজই জোগাত। তার পরিচয় পত্র ব্যবহার করেই বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার সংস্থার মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো হত বলে জানা গিয়েছে।

Uttar Pradesh NIA terrorist Lashkar-e-Taiba এনআইএ লস্কর-ই-তইবা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy