Advertisement
E-Paper

ফেরার থাকার সময়ে মুম্বই এসেছিল সাজ্জাদ

তার নতুন নাম হয় ইমরান শেখ। দিন পনেরোর মধ্যে ওই চাকরি ছেড়ে একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে বেশি বেতনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নেয় সাজ্জাদ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০২
সাজ্জাদ মুঘল

সাজ্জাদ মুঘল

মায়ের অসুস্থতার কথা বলে প্যারোলে মুক্তি পেয়েই গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তার পর থেকেই তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল মুম্বই পুলিশ। অথচ তখন কার্যত পুলিশের নাকের ডগায় বসে মুম্বইয়েরই দু’টি আবাসনে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেছিল পল্লবী পুরকায়স্থের খুনি সাজ্জাদ মুঘল! পুলিশের কাছে এমন দাবি করেছে সাজ্জাদ নিজেই!

২০১২-র অগস্টে মুম্বইয়ের আইনজীবী পল্লবীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, ধর্ষণে বাধা পেয়ে ১৬ বার কুপিয়ে বছর পঁচিশের পল্লবীকে খুন করেছে ওই অ্যাপার্টমেন্টেরই রক্ষী সাজ্জাদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে নাসিক জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পায় সে।

সাজ্জাদের দাবি, প্যারোলে ছাড়া পেয়ে প্রথমে পশ্চিম অন্ধেরীতে সে এক বন্ধুর কাছে যায়। সেই বন্ধুর সাহায্যেই একটি আবাসনে নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নিয়েছিল সে। তার নতুন নাম হয় ইমরান শেখ। দিন পনেরোর মধ্যে ওই চাকরি ছেড়ে একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে বেশি বেতনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নেয় সাজ্জাদ। সেখানে প্রায় এক মাস কাজ করার পরে তার পরিচয়পত্র চাওয়া হলে সাজ্জাদ জানায়, খুব শীঘ্রই গ্রাম থেকে সে তা এনে দেবে। তার পরেই ওই চাকরি ছেড়ে সে গা ঢাকা দেয় কাশ্মীরের উরি জেলার সালামাবাদে।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরেই মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্যারোল থেকে পালানোর প্রায় দেড় বছর পরে মঙ্গলবার সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাজ্জাদকে।

ওই গ্রামে কী ভাবে এত দিন গা ঢাকা দিয়েছিল সাজ্জাদ? কী ভাবেই বা ধরা পড়ল সে? পুলিশ জেনেছে, গ্রামের লোককে সাজ্জাদ জানিয়েছিল, সে গরিব বলেই পল্লবী খুনে পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। এ ভাবেই গ্রামবাসীদের সহানুভূতি পেয়েছিল সে। ফলে বারবার গ্রামে গিয়েও সাজ্জাদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশের দাবি, সাজ্জাদ যে পালানোর ছক কষেছিল, তা সমর্থন করেছিল তার পরিবার। এমনকী গ্রামবাসীরাও প্রথম থেকেই তাকে আড়াল করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। গ্রামে গিয়ে তাই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল পুলিশ। যত বার সাজ্জাদকে খুঁজতে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়েছে, তত বারই গ্রামবাসীরা সাজ্জাদকে সতর্ক করে দিয়েছেন। ফলে পুলিশের হাত ফস্কে পালিয়েছে সে। একটা সময় পুলিশ বুঝতে পারে, গ্রামের বাইরে না বেরোলে সাজ্জাদকে ধরা মুশকিল।

এর পরে ছদ্মবেশে ওই গ্রামে যান মুম্বই পুলিশের জনা কয়েক অফিসার। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে সাজ্জাদের খবর রাখা শুরু করেন তাঁরা। গত সপ্তাহে খবর আসে, কাজের জন্য গ্রাম ছাড়বে সাজ্জাদ। সেই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কাশ্মীর উড়ে যায় মুম্বই পুলিশের একটি বড় দল। গ্রাম ছাড়তেই পুলিশের জালে পড়ে পল্লবীর হত্যাকারী।

তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, নাসিক জেলে সহ-বন্দিদের সাজ্জাদ বলেছিল, পল্লবী তার ‘প্রেমিকা’। পল্লবী তার কাছে রোজ টাকা চাইতো বলে রাগের মাথায় তাঁকে খুন করেছিল বলেও সহ-বন্দিদের কাছে দাবি করেছিল সাজ্জাদ।

Pallavi Purkayastha Pallavi Purkayastha’s murder and rape case Sajjad Mughal পল্লবী পুরকায়স্থ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy