পনেরো বছর আগে যে যোগী সাইকেলে চেপে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করতেন, আজ তিনি বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক।
দেশে-বিদেশে রয়েছে তার বিপুল সম্পত্তি। তিনি হলেন আচার্য বালকৃষ্ণ। ৪৪ বছরের এই মানুষটির নাম দেশের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকার একেবারে প্রথম দিকেই উঠে এসেছে। ‘হুরুন ইন্ডিয়া’র প্রকাশিত তালিকায় ২০১৬ সালের ধনীতম ব্যক্তি তালিকার ২৬ নম্বরে উঠে এসেছে বালকৃষ্ণের নাম। হুরুন হল চিনের একটি সংস্থা, যারা চিনের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে। ২০১২ সাল থেকে এই সংস্থা ভারতীয় ধনী ব্যক্তিদের তালিকাও প্রকাশ করে আসছে।
এ বার জানা যাক, কে এই আচার্য বালকৃষ্ণ?
সেই বহু যুগ আগে রামদেব আর আচার্য বালকৃষ্ণ এক আশ্রমেরই আশ্রমিক ছিলেন। সেখানে থেকেই তাঁদের মধ্যে সখ্য হয়। সেখান থেকেই ১৯৯০ সালে দু’জনে মিলে আয়ুর্বেদ এবং যোগ ব্যায়ামকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নেন। সে সময় থেকেই ‘দিব্য ফার্মেসি’র নামে একটি আয়ুর্বেদ সংস্থা চালু করেন রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ। পথ চলার সেই শুরু। পরবর্তী কালে ‘দিব্য ফার্মেসি’ নাম বদলে হয় ‘পতঞ্জলি’। এর পরে ধীরে ধীরে হরিদ্বারের ‘পতঞ্জলি যোগপীঠ’ মহীরূহের আকার নেয়।
আরও পড়ুন: এ বার বাজারে আসছে পতঞ্জলি জিনস
কিছু সময় আগে ‘পতঞ্জলি’ ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে বিভিন্ন ধরনের পণ্য। টেলিভিশন থেকে পোস্টারে ছেয়ে গেছে ‘পতঞ্জলি’র বিজ্ঞাপণ। এখন ভারতে যতগুলি এফএমজিসি ব্র্যান্ড বা ফাস্ট মুভিং কনজিউম গুডস রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘পতঞ্জলি’। আর পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং প্রধান স্টেকহোল্ডার হলেন এই বালকৃষ্ণ। জানা গিয়েছে, পতঞ্জলি-র সিইও হিসেবে বালকৃষ্ণ নাকি এক পয়সাও মাইনে নেন না। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর সময় ব্যাঙ্ক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছিলেন। হুরুন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ‘পতঞ্জলি’র ৯৪ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে তাঁর হাতে। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি প্রায় পঁচিশ হাজার ছ’শো কোটি টাকার মালিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy