গুজরাতের গাধাদের বিজ্ঞাপন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু আসলে কাকে তিনি গাধা বলছেন, সেটা স্পষ্ট করেননি। জবাব দিতে গিয়ে কিন্তু সরাসরি আক্রমণের মুখ নিজের দিকেই ঘুরিয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাহরাইচে এক সভায় জানিয়ে দিলেন, দেশবাসীর জন্য তিনি গাধার মতোই খাটেন। বিশ্বস্ত, পরিশ্রমী ওই প্রাণীটির কাছ থেকে অনুপ্রেরণাও পান।
আরও এক পা এগিয়ে পশু নিয়ে আলোচনাকে একেবারে জাতপাতের অঙ্কে নিয়ে গিয়ে মোদীর দাবি, অখিলেশের মন জাতপাতের হিসেবে এমনই ভরে আছে যে তার প্রতিফলন হয় পশু নিয়ে আলোচনাতেও। তিনি গাধা পছন্দ করেন না। কিন্তু মোষ খুঁজতে তাঁর প্রশাসন তৎপর হয়। অনেকের মতে, এই মন্তব্য করে আসলে রামপুরে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের মোষ খুঁজতে অখিলেশ-প্রশাসনের তৎপর হওয়ার ঘটনাকেই কটাক্ষ করেছেন মোদী। একই সঙ্গে ‘নিচু জাত’-এর পোষ্য গাধার সঙ্গে উচ্চবর্ণ ও সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের কাছে থাকা মোষের তুলনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মোদী, তোপ রাহুলের
গুজরাত পর্যটনের এক সরকারি বিজ্ঞাপনের মুখ অমিতাভ বচ্চন। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারের সময়ে অখিলেশ বলেন, ‘‘মহানায়কের কাছে আমার অনুরোধ, গুজরাতের গাধাদের বিজ্ঞাপন করবেন না।’’ অনেকের মতে, আসলে মোদী-অমিত শাহের দিকেই ইঙ্গিত ছিল সমাজবাদী নেতার। সপা শিবির অবশ্য এ কথা মানতে চায়নি। বাহরাইচে এক সভায় আজ মোদী বলেন, ‘‘অখিলেশজি বোধহয় কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা গাধাদের ভয় পান! আপনি বোধহয় জানেন না, গাধার কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। প্রভুভক্ত প্রাণীটির পরিশ্রম দেখে আমি তো অনুপ্রেরণা পাই।’’ মোদীর বক্তব্য, ‘‘আমি গাধার মতোই ১২৫ কোটি দেশবাসীর জন্য খাটি। গাধা বোঝা নেওয়ার সময়ে বৈষম্য করে না। যারা দুর্নীতিতে গলা অবধি ডুবে থাকে, তারাই বৈষম্য করে।’’ অনেকেই মনে করছেন, গাধা আর মোষের মধ্যে তুলনা করে আসলে অখিলেশকে উচ্চবর্ণের প্রতি দরদী হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন মোদী।
গুজরাতের বুনো গাধাদের ছবি দিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল ইউপিএ সরকার। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘‘আপনি যাঁদের বুকে জড়িয়ে ধরেছেন, তাঁরাই এই গাধাদের নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিলেন। এ বার বুঝছেন তো গাধার দৌড় কত দূর!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy