প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায় সরকারের চার বছরের মাথায় লোকপাল নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বৈঠক বয়কট করল কংগ্রেস।
অন্না হজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইউপিএ সরকার লোকপাল বিল আনতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েও রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করতেন না নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী হয়েও এড়িয়ে গিয়েছেন লোকপাল নিয়োগে। না করার পিছনে সরকারের যুক্তি ছিল, লোকপাল নিয়োগের কমিটিতে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা থাকার কথা। অথচ কংগ্রেস বিরোধী দলের তকমা না পাওয়ায় সেই পদে কেউ নেই। কিন্তু বিরোধী দলনেতার বদলে বিরোধী শিবিরের সব থেকে বড় দলের নেতাকে কমিটিতে রাখতে একটি ছোট্ট সংশোধন প্রয়োজন। সরকার সেটিও করেনি।
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা ছাড়াই বৈঠক করার নির্দেশ দেয়। আবার অন্নাও ফের লোকপালের দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন দফায় দফায়। এমনিতেই মোদী সরকারের গায়ে দুর্নীতির তকমা লেগেছে। বেগতিক বুঝে আজ বৈঠক ডাকেন মোদী। কিন্তু সেই বৈঠকে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ‘বিশেষ আমন্ত্রিত’ হিসেবে। যার অর্থ, বৈঠকে খড়্গের কথার কোনও মূল্য থাকবে না। প্রতিবাদে কাল রাতেই মোদীকে চিঠি লিখে বৈঠক বয়কটের কথা জানান খাড়্গে। আজ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর থেকে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কের মতো আচরণ প্রত্যাশিত। বিরোধী দলের নেতাকে সামিলের জন্য একটি ছোট্ট সংশোধন অনায়াসে করা যায়। কিন্তু সেটিও চার বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্নীতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী আসলে কতটা আন্তরিক, সেটি স্পষ্ট।’’ লোকপাল কমিটিতে চেয়ারম্যান ও সদস্য কারা হবেন, আইন মোতাবেক সেটি নির্ধারণ করবে একটি ‘সিলেকশন কমিটি’। সেই সিলেকশন কমিটিতে কারা থাকবেন, তা নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতারা।
বৈঠকে সেই সিলেকশন কমিটিতে এক জন স্বনামধন্য আইনজ্ঞের নাম নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। বিলে এই আইনজ্ঞের মেয়াদ কত দিন থাকবে, তা স্পষ্ট বলা নেই। তাই আইনটি ফের সংশোধনের পক্ষপাতী সরকারের একাংশ। বিরোধীদের বক্তব্য, লোক দেখানো বৈঠক হচ্ছে। তবে লোকপাল গঠন ও তার কাজ শুরু নিয়ে সরকারের আগ্রহই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy