ভোট-ফলের ছবিটা স্পষ্ট হতেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিজেপির জয়ের জন্য টুইট করে নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানালেন রাহুল গাঁধী। জবাবে মোদী লিখলেন, ‘‘ধন্যবাদ। গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।’’ গত কয়েক মাস ধরে ভোটযুদ্ধে একে অপরের সঙ্গে লড়েছেন। কিন্তু আজ শেষ হাসিটা হাসলেন মোদীই। তাঁর কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের স্বপ্নে জুড়ল আর একটি পালক। আর মোদীর সেনাপতিরা বলতে শুরু করলেন, রাহুল ব্যর্থ।
রাহুলের নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ল বটে। কিন্তু চ্যালেঞ্জের মুখে নয়। বিকেল গড়াতেই কংগ্রেস নেতারা বলতে শুরু করলেন, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুরেও তো রাহুলের নেতৃত্বেই ভোট হয়েছে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে বিজেপি পেল দু’টি। কংগ্রেস তিনটে।
কিন্তু মুখে এ কথা বললেও কংগ্রেস নেতারা ঘরোয়া স্তরে বলছেন, যে ভাবে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশে ভিত শক্ত করেছেন, অখিলেশের সঙ্গে হাত মিলিয়েও রাহুল সেটা পারলেন কোথায়?
এটা ঠিক, পাঁচ বছর আগে এই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভায় কংগ্রেসের ভোট ছিল ১১.৬৩%। গত লোকসভায় তা কমে দাঁড়ায় ৭.৫০-এ। গত বিধানসভার ২৮টি আসন থেকে এখন সাতে এসে ঠেকার সঙ্গে ভোটের পরিমাণও কমে হয়েছে ৬.২ শতাংশ। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের অবক্ষয় তো হচ্ছিলই। রাহুল তা-ও এগিয়ে এসে হাল ধরেছেন।’’ কিন্তু কংগ্রেসের মধ্যেই এখন একটি অংশ আবার ‘প্রিয়ঙ্কা লাও, দল বাঁচাও’ দাবি তুলছেন। তাঁদের মতে, সনিয়া গাঁধী পুরো দায়িত্ব রাহুলের উপর ছেড়ে দিলেও এখনই তাঁকে সভাপতি করা ভুল হবে। পি চিদম্বরমের মতো নেতাও আজ বলেন, ভোটের ফলে প্রমাণ মোদী গোটা দেশে আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy