রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির ঘৃণা ও মেরুকরণের রাজনীতিকে টক্কর দিতে পরের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে রাজি রাহুল গাঁধী। আজ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন তিনি। ফলে ২০১৯-এর ভোটের ঢাক এ ভাবেই বেজে উঠল বিদেশের মাটিতে।
রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, আগেও তিনি প্রধানমন্ত্রী বা নিদেন পক্ষে মন্ত্রী হবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে তিনি কি তৈরি? জবাবে রাহুল বলেন, তিনি তৈরি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দল নেবে।
এত বড় ঘোষণা হঠাৎ রাহুল এ দিনই করলেন কেন? বিদেশের মাটিকেই বা বেছে নিলেন কেন? কংগ্রেস সূত্র বলছে, প্রথমত রাহুল এ দিন খোলাখুলি সব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন। নিজেদের খামতির কথাও গোপন করেননি। সেখানে ভবিষ্যৎ রণকৌশল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরেও স্বাভাবিক ভাবেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
তা ছাড়া, রাহুলের দিক থেকে মোদীর বিরুদ্ধে এটি পাল্টা কৌশলও বটে। মোদী এত দিন বিদেশে গিয়ে কংগ্রেসকে নিয়ম করে গাল পাড়তেন। পাল্টা আক্রমণে যেতে রাহুলও বেছে নিলেন মার্কিন মুলুককেই। হাজারেরও বেশি অনলাইন ফৌজ নিয়ে যে মোদী তাঁকে ‘মূর্খ ও অযোগ্য’ বলে এত দিন প্রচার করে এসেছেন, আজ তাঁকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, এ বারে আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। তবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কটাক্ষ, ‘‘তা-ও ভাল! শেষ অবধি প্রধানমন্ত্রীর পথই অনুসরণ করছেন রাহুল।’’
কিন্তু রাহুলের ঘোষণায় বিজেপি খানিকটা বিস্মিতই। কংগ্রেস বলছে, রাষ্ট্রনায়কের মতো কাজ করেছেন রাহুল। অক্টোবরে সভাপতি পদের নির্বাচনের আগেই নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিন বছরে মোদী একটিও প্রশ্নের উত্তর দেননি। রাহুল সব অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন।
বাস্তবিকই রাহুল অকপটে বলেছেন, ২০১২ সালের পর থেকে দলের ঔদ্ধত্যের খেসারতই দিতে হয়েছে ভোটে। তিনি স্বীকার করেন, তাঁর থেকে ঢের ভাল যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন মোদী। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, মোদী যাঁদের সঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের কারও সঙ্গে, এমনকী বিজেপি সাংসদদের সঙ্গেও কথা বলেন না। কিন্তু রাহুলের দাবি, কংগ্রেস সকলের কথা শোনে, তার পর সিদ্ধান্ত নেয়। চাপিয়ে দেয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy