কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। -ফাইল চিত্র।
মাকে কটাক্ষ করে কেউ কিছু বললে ছেলে তো ফোঁস করে উঠবেনই!
আর সেই মা যদি হন সনিয়া গাঁধী, আর তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে খোঁচাটা দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, তাও আবার দু’দিন বাদে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ যেখানে, সেই কর্নাটকে, তা হলে কী ভাবেই মুখ বুঁজে বসে থাকেন ছেলে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী?
কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ দফার প্রচারে বৃহস্পতিবার তাই রাহুল সরাসরি বললেন, ‘‘আমার মা (সনিয়া গাঁধী) আমার দেখা অনেক ভারতীয়ের চেয়েই মনে-প্রাণে বেশি ভারতীয়।’’
কর্নাটকে ভোট-প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সনিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, কংগ্রেস সরকারের সাফল্য হিন্দি, ইংরেজি আর তাঁর (রাহুল) মায়ের মাতৃভাষায় বলুন কংগ্রেস সভাপতি।
তারই জবাব দিতে গিয়ে এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘ঠিকই, আমার মা ইতালীয়। কিন্তু তাঁর জীবনের বেশি সময়টা ভারতেই কাটিয়েছেন। এই দেশটার জন্য তিনি আত্মত্যাগ করেছেন। বহু দুঃখ ভোগ করেছেন।’’
রাহুলের মনে হয়েছে, ওই খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সহবতের গণ্ডী ডিঙিয়ে গিয়েছেন।
রাহুলের কথায়, ‘‘এই ধরনের কথাবার্তাতেই বোঝা যায়, উনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) কী রকম। উনি মানুষ হিসাবে কেমন, সেটাও বোঝা গেল। উনি এই সব বলছেন দেখে আমার মন্দ লাগছে না! আমি উপভোগ করছি। উনি যদি এই সব পছন্দ করেন, এই সবে মজা পান, তা হলে এই সব চালিয়ে যেতে পারেন। ওঁর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’
আরও পড়ুন- আলিঙ্গনে ভিসা মেলে কি, কটাক্ষ রাহুলের
আরও পড়ুন- রাহুলের ঘোষণাই হাতিয়ার মোদীর
ভোট-প্রচারে রাহুলকেও ‘অপরিণত’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের একটি ঘটনার উল্লেখ করেন রাহুল। যেখানে ক্রোধোন্মত্ত হয়ে এক জন এসে গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তার পর বুদ্ধদেব তাঁর এক শিষ্যকে বলেছিলেন, ‘‘ও আমাকে যেচে এসে রাগ উপহার দিয়েছে। সেটা আমি চাইনি। তাই সেটা আমি গ্রহণও করিনি।’’
রাহুলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন প্রায়শই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। শুধু আমার ওপরেই নয়, অনেকের ওপরেই তিনি সেই রাগ দেখিয়ে ফেলছেন।
‘‘এই রাগটা ওঁর সমস্যা। আমার সমস্যা নয়। আমার সমস্যা একটাই, তা হল কী ভাবে দেশের মানুষকে সাহায্য করা যায়’’, বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy