রাহুল গাঁধী। পিটিআইযের ফাইল চিত্র।
মন্দিরে পুজো দিয়েই গুজরাতে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন রাহুল গাঁধী। আর ফল বেরনোর ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার ফের মন্দিরে পুজো দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ বার সোমনাথ মন্দির।
তিন দিনের সফরে এ দিন অমদাবাদ গিয়েছেন রাহুল। সেখানে তিনি নবনির্বাচিত বিধায়কদের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, গুজরাতে বিজেপি-র সঙ্গে এত ভাল লড়াইয়ের পরও কেন শেষটা সেই অর্থে ভাল হল না, সেটা পর্যালোচনা করতেই এই সফর। পাশাপাশি দলের আগামী দিনের রণনীতি কী হবে সেটাও ঠিক হওয়ার কথা ওই বৈঠকে।
এ বারের গুজরাত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। প্রধামন্ত্রীর রাজ্যে তাঁর দলকে ধরাশায়ী করতে গুজরাতের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছিলেন রাহুল। রাজ্যের যেখানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো দেওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। রাহুল হিন্দু কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যদিও নিজেকে শিব ভক্ত বলে দাবি করে পাল্টা জবাবও দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নদীতে বাস, রাজস্থানে মৃত অন্তত ৩০, চালকের বয়স ১৬ বছর
মোদীর সব মিথ্যে, সুর চড়ালেন রাহুল গাঁধী
ভোট মিটে গিয়েছে। ৯৯টি আসন পেয়ে বিজেপি জিতেছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৮০টি। প্রথম থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছিল ১৫০টি আসন পাবে। কিন্তু ফল বেরনোর পর ছবিটাই বদলে যায়। ১০০-র গণ্ডিও টপকাতে পারেনি তারা। পরে যদিও এক নির্দল প্রার্থী সমর্থন করায় সংখ্যাটা ১০০-য় দাঁড়ায়। আরও এক জন নির্দল প্রার্থী সমর্থন জানাতে পারে বলে সূত্রের খবর।
তবে কংগ্রেস এ বার যে ভাবে ৮০টি আসন নিয়ে উঠে এসেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কংগ্রেস বিজেপির আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও চিড় ধরাতে সক্ষম হয়েছে।
গুজরাত রাস্তা দেখিয়েছে। এই রণনীতিকেই হাতিয়ার করে ২০১৯-এর লক্ষ্যে এগোতে চাইছেন রাহুল। তাই কংগ্রেস নেতারা বলছেন, কংগ্রেস সভাপতির এই সফর যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy