Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দিন বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রাহুল

আজ রাহুল মঞ্চে উঠতেই বণিকসভার সভাপতি গোপাল জিয়ারাজকা বলেন, ‘‘ঋতু বদলাচ্ছে। বোধহয় রাজনীতিতেও ঋতু বদল হচ্ছে।

মগ্ন: পিএইচডি চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক অধিবেশনে রাহুল গাঁধী। বৃস্পতিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

মগ্ন: পিএইচডি চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক অধিবেশনে রাহুল গাঁধী। বৃস্পতিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

পায়ের নীচে নরম হয়ে যাওয়া মাটি একটু একটু করে শক্ত করেছেন। আর সেই মাটিতে দাঁড়িয়েই পালাবদলের স্বপ্ন দেখানো শুরু করে দিলেন রাহুল গাঁধী।

গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নানা ভাবে নিশানা করেছেন রাহুল। বিশেষ করে গত এক বছরে নোট বাতিল, জিএসটির মতো অস্ত্রে বারেবারে মোদীকে নিশানা করে চাপে ফেলেছেন তাঁর সরকার এবং দলকে। আজ দিল্লিতে বণিকসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর দল ফের ক্ষমতায় এলে কী হবে, সেই স্বপ্ন দেখালেন রাহুল।

বৃহস্পতিবার পিএইচডি চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সভায় রাহুলের বক্তব্য, কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় এলে সকলের কথা শুনবে। শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা সম্মান পাবেন। সরকার তাঁদের বিশ্বাস করবে। রাহুলের প্রতিশ্রুতি,তাঁর দল সরকারে এলে জিএসটি-র আমূল ভোলবদল হবে। করের সরলীকরণ হবে। বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের সমস্যাও শুনবে সেই সরকার।

এমনিতেই কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে তৈরি রাহুলের মধ্যে এখন নতুন আত্মবিশ্বাস দেখছেন দলের নেতারা। সেই আত্মবিশ্বাস ও শিল্পমহলের ক্ষোভ— এই দুইকে কাজে লাগিয়েই এ দিন মঞ্চ মাতিয়েছেন রাহুল। তিনি এক একটা কথা বলেছেন, সভা ফেটে পড়েছে স্বতঃস্ফূর্ত হাততালিতে। রাহুল বলেন, ‘‘মোদীজি অর্থনীতির বুকে পরপর দু’টো গুলি চালিয়েছেন। প্রথমে নোট বন্দি। ব্যাং। তার পর জিএসটি। ব্যাং।’’ হাততালিতে ফেটে পড়েছে পাঁচতারা হোটেলের প্রেক্ষাগৃহ। একবার নয়, বারবার একই ছবি।

এ দিন জিএসটি-কে ‘কর সন্ত্রাসের সুনামি’, ‘একবিংশ শতাব্দীর কম্পিউটার চালিত লাইসেন্স-রাজ’ বলেছেন রাহুল। নোটবাতিল নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘মোদীজি অর্থনীতির একটা মূল ধারণা বুঝতে পারেননি। সব নগদ কালো টাকা নয়। সব কালো টাকাও নগদ নয়।’’ মোদীর ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ছাতিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নোট বাতিল করে মানুষকে যন্ত্রণা দিতে সত্যিই বড় ছাতি ও ক্ষুদ্র হৃদয়ের লোককে দরকার।’’

আজ রাহুল মঞ্চে উঠতেই বণিকসভার সভাপতি গোপাল জিয়ারাজকা বলেন, ‘‘ঋতু বদলাচ্ছে। বোধহয় রাজনীতিতেও ঋতু বদল হচ্ছে। তিন বছর আগে এমন হাওয়া ছিল, বিপক্ষ নেই। আমরা খুশি যে, আজ বিপক্ষের হাওয়া চলছে।’’ এই বণিকসভার সদস্যদের একটা বড় অংশই ছোট ও মাঝারি শিল্পপতি। যাঁদের একটা বড় অংশ আবার বিজেপির ভোটব্যাঙ্কও। কিন্তু নোট বাতিল ও জিএসটি-তে যে তাঁরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, তা রাহুলের অজানা নয়। সেই ক্ষোভ উসকে দিয়ে তাঁর আশ্বাস, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ছোট-মাঝারি শিল্পপতিরা সম্মান পাবেন। কারণ তাঁদের সমস্যাই দেশের সমস্যা। তাঁদের সাফল্যই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE