নজরে ২০১৯ ভোট, রেলে ১০ লক্ষ চাকরির স্বপ্ন দেখালেন গয়াল

লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশে ১ কোটি বেকারের চাকরি হবে। কিন্তু, তিন বছর কেটে গেলেও ফলের অবস্থা করুণ। আর এ বার বিপুল কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকা রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘রেলে আগামী পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ চাকরি হবে।’’ শুধু তাই নয়, ওই সময় কালের মধ্যে রেলে ১৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করা হবে বলেও দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী।

শনিবার মুম্বইয়ে এক বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন গোয়েল। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশবাসীকে নিরাপদ, সুরক্ষিত ও আরামদায়ক যাত্রা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার।’’ গয়াল জানান, রেলকে নতুন দিশা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার করা হবে। তাঁর দাবি, ‘‘রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হলে স্থানীয় নির্মাণ শিল্পের প্রসার হবে।’’

আরও পড়ুন: পাঁচ বছর আগের কটাক্ষই ব্যুমেরাং

ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, দেশের সব রেললাইনের বৈদ্যুতিকরণের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৪ বছর করা হয়েছে। এর ফলে, খরচ ৩০ শতাংশ কমবে বলে আশা তাঁর। মন্ত্রীর দাবি, বৈদ্যুতিকরণের ফলে প্রতি বছর রেলের জ্বালানি খরচ বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

আরও পড়ুন: মাথায় পর পর হাতুড়ির ঘা খেয়েও ডাকাতি রুখলেন রক্ষী, দেখুন ভিডিও

২০১৪ সালে বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল কর্মসংস্থান। যদিও কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, এই তিন বছরে কর্মসংস্থান তো হয়ইনি, উল্টে নোট বাতিলের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। দেশের তাবড় অর্থনীতিবিদরাও এর সঙ্গে দ্বিমত হচ্ছেন না। আর দু’ বছর পরই লোকসভা নির্বাচন। তাতে যে কর্মসংস্থান অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এ বার সেই লক্ষ্যেই পা ফেলা শুরু করল কেন্দ্র। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাছা হল এমন একটি ক্ষেত্রকে, যেখানে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। রেলমন্ত্রীর দাবি মতো ১০ লক্ষ চাকরি হলে ভাল। কিন্তু যে বিপুল সংখ্যার কর্মসংস্থান দরকার দেশে, তার হিসেব মেলানোর কোনও অবস্থা মোদী সরকারের হাতে আদৌ আছে কি?