রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল।
কালো টাকার বিরুদ্ধে সরকারি অভিযানের কথা অনেক আগেই জানতেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) গভর্নর উর্জিত পটেল? গত বছরের জানুয়ারিতেই? প্রধানমন্ত্রীর ‘যুদ্ধঘোষণা’র পর পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট বাবদ মোট কত টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকল, সেটাও নাকি তেমন জানা নেই আরবিআইয়ের গভর্নরের!
বুধবার অর্থ সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে এমনটাই জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর। সূত্রের খবর, এ দিন সংসদীয় প্যানেলকে আরবিআইয়ের গভর্নর উর্জিত পটেল জানিয়েছেন, নোট-বাতিল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। এর আগে উর্জিতই বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘যুদ্ধঘোষণা’র (৮ নভেম্বর) ঠিক এক দিন আগে বাজার-চলতি ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সরকারি ‘পরামর্শ’ এসেছিল তাঁর কাছে!
আরবিআইয়ের গভর্নর এ দিন কংগ্রেসের বীরাপ্পা মইলির নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্যানেলের সামনে এও বলেছেন, ‘‘প্রায় একই রকম ভাবে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসেও তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকার বাজার থেকে আচমকাই চালু ১০০০ টাকার নোট তুলে নিয়েছিল।’’
আরও পড়ুন- কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধের ইঙ্গিত সেবি-র
শুধু আরবিআইয়ের গভর্নরই নন, সূত্রের খবর, অর্থ মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারাও এ দিন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন, নোট-বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ঠিক কত টাকা ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে, সে ব্যাপারে তাঁরা অন্ধকারেই রয়েছেন। পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার যে নোটগুলি বাতিল করা হয়েছে, তার মোট মূল্য ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। তার কতটা ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে গত ৮ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত, তা এখনও সরকারি ভাবে জানায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সংবাদমাধ্যমের খবর, তা ৯৭ শতাংশ হতে পারে।
কী পরিমাণ নতুন ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে, এ দিন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে তা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর। বলেছেন, ‘‘৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকার নতুন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট এখনও পর্যন্ত বাজারে ছাড়া হয়েছে।’’ তবে ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কত দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে, তা খোলসা করে বলতে পারেননি উর্জিত পটেল। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার হাল-হকিকৎ জানাতে আরবিআইয়ের গভর্নর পরশু, শুক্রবার হাজির হবেন কংগ্রেসের কেভি থমাসের নেতৃত্বাধীন আরও একটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের সামনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy