শীতের রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন সকলেই। আচমকা প্রচণ্ড দুলুনিতে ঘুম ভেঙে গেল মহানগরের বেশির ভাগ মানুষের। দুলুনির কারণ বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি বহুতলগুলি থেকে বেড়িয়ে আসেন বাসিন্দারা। বিভিন্ন জায়গায় শঙ্খ বেজে ওঠে। গড়িয়ার বাসিন্দা উত্তম দে বলেন, “ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাত্ প্রচণ্ড দুলুনিতে ঘুম ভেঙে গেল। খাট, সিলিং ফ্যান প্রচণ্ড দুলছিল।”
কলকাতার পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায়। কোন্নগর থেকে বাঁকুড়া, বহরমপুর থেকে বর্ধমান— আতঙ্কে রাস্তায় বেড়িয়ে এসেছেন অনেকেই।
বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার ভোরে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে অনুভূত হয় কম্পন। ঘুমের ঘোর কেটে গিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। অত ভোরেই ভয় বাড়ির থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে থাকেন অনেকে। ভূমিকম্পের জেরে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম নওসাদ শেখ। বছর আটান্নোর নওয়াদ শেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদ থানার কাপাসডাঙায়। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে আচমকাই উঠোনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও খবর:
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬.৮
পায়ের নীচের কংক্রিটের মেঝেতে তুমুল ঢেউ খেলে গেল
বাড়িঘর কেঁপেছে সর্বত্র। বেশির ভাগ মানুষই তখন ঘুমিয়ে। কম্পন টের পেতেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় অনেককে। গুয়াহাটিতে এতটাই কম্পন অনুভূত হয় যে, অনেকেরই মনে হয় সেখানেই বুঝি উত্সস্থল। স্থানীয় বাসিন্দা অমল গুপ্ত বলেন, ‘‘প্রচণ্ড দুলুনিতে ঘুম ভেঙে গেল। ঘরের আলমারি এমন ভাবে দুলছিল যে, মনে হচ্ছিল এখনই গায়ের উপর এসে পড়বে। এমন কম্পন গুয়াহাটিতে জীবনে দেখিনি। দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। আশপাশের বাড়ি থেকেও তত ক্ষণে সকলে বেরিয়ে পড়েছেন। বেশ কয়েকটা বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।’’