Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সংরক্ষণ নিয়ে ফের মোদীকে চাপ ভাগবতের

সংরক্ষণ নীতি বদলানো হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই সংরক্ষণ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আরএসএসের এক কর্মসূচিতে সরসঙ্ঘচালক ভাগবত এ দিন ফের বলেছেন, তিনি মনে করেন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা যাঁদের কথা ভেবে করা হয়েছিল, তাঁরা এর সুবিধা পাননি। তাই এই ব্যবস্থায় বদল দরকার।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৫৬
Share: Save:

সংরক্ষণ নীতি বদলানো হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই সংরক্ষণ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আরএসএসের এক কর্মসূচিতে সরসঙ্ঘচালক ভাগবত এ দিন ফের বলেছেন, তিনি মনে করেন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা যাঁদের কথা ভেবে করা হয়েছিল, তাঁরা এর সুবিধা পাননি। তাই এই ব্যবস্থায় বদল দরকার।

ভাগবত বলেছেন, ‘‘সংরক্ষণের সুবিধা আসলে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরাই তা পাচ্ছেন এটা নিশ্চিত করার জন্য দেশের সংরক্ষণ নীতির পুনর্বিবেচনা হওয়া জরুরি।’’ গত মাসে মোহন ভাগবত প্রথম বার সংরক্ষণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাতে বদল আনার দাবি তোলেন। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাঁর সেই মন্তব্য জাতপাতের সমীকরণের নিরিখে বিজেপিকে বেশ বিপদে ফেলে দেয় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। নাীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদবরা ভোট ময়দানে তার পর থেকেই ফলাও করে বলতে শুরু করেন যে, বিজেপি জিতলেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা তুলে দেবে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে মাঠে নামতে হয় খোদ নরেন্দ্র মোদীকেই। মাত্র দু’দিন আগেই মুম্বইতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সংরক্ষণ নীতি বদলানোর কোনও প্রশ্নই নেই।

ভোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় বিজেপি যা-ই বলুক, আরএসএস যে তা মেনে নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদল করবে না, তা মোহন ভাগবত ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মুখ খুললেন তিনি। বিহার নির্বাচনের মাঝেই আবার বললেন, সংরক্ষণের বিরোধী না হলেও, যে ধরনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা দেশে এখন চালু রয়েছে, তার উপর সঙ্ঘের বিশ্বাস নেই। এই নীতির পুনর্বিবেচনা করতেই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE