বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।- ফাইল চিত্র।
৪২ বছর পর বাবার দেওয়া রায় খারিজ করে দিলেন ছেলে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এই প্রথম।
ছেলে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বৃহস্পতিবার গোপনতার অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ, বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছিলেন তার অন্যতম সদস্য।
যাঁর বাবা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক সময়ের প্রধান বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। শীর্ষ আদালতের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদের প্রধান বিচারপতিও বটে। যিনি আজ থেকে ৪২ বছর আগে এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা মামলায় গোপনতার অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে মান্যতা দিতে চাননি।
আরও পড়ুন- গোপনতার অবাধ অধিকার সম্ভব নয়, রায়কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্র
আরও পড়ুন- ফের ঐতিহাসিক রায়: ব্যক্তিগত গোপনতা এখন মৌলিক অধিকার
গোপনতার অধিকার কী ও কতটা হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ’৭৫ সালে তাঁর রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘‘ব্যক্তিস্বাধীনতার কোনও সীমা পরিসীমা নেই। তাই যখন সেই অধিকার কেউ প্রয়োগ করতে শুরু করেন, তখন সেই অধিকারটা সাংবিধানিক নাকি তা সংবিধান প্রণয়নের আগেকার, সেই ফারাকটা বুঝে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে।’’ বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে নিয়ে সেটা ছিল সুপ্রিম কোর্টের ৪ সদস্যের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- এই রায় ভাল, তবে কোনও মৌলিক অধিকারই অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের ৫৪৭ পাতার রায়ে চন্দ্রচূড়-পুত্র বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘‘ওই রায়ে গুরুতর গলদ ছিল। জীবন আর ব্যক্তিস্বাধীনতা মানুষের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অধিকারগুলিকেই বলা হয়েছে আদিতম অধিকার। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই এই অধিকারগুলির জন্ম হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy