Advertisement
০২ মে ২০২৪

নীতীশের বিরুদ্ধে আর্জি সুপ্রিম কোর্টে

গত কাল ওই আর্জি দাখিল করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তাঁর বক্তব্য, ১৯৯১ সালে বাঢ় লোকসভা আসনের উপ-নির্বাচনের আগে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সীতারাম সিংহ খুন হন।

মৈত্রী: নীতীশ কুমারকে শুভেচ্ছা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির। মঙ্গলবার পটনায়। নিজস্ব চিত্র।

মৈত্রী: নীতীশ কুমারকে শুভেচ্ছা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির। মঙ্গলবার পটনায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৩
Share: Save:

ফৌজদারি মামলার কথা হলফনামায় জানাননি নীতীশ কুমার— এমনই অভিযোগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিধান পরিষদের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে দায়ের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে।

গত কাল ওই আর্জি দাখিল করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তাঁর বক্তব্য, ১৯৯১ সালে বাঢ় লোকসভা আসনের উপ-নির্বাচনের আগে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সীতারাম সিংহ খুন হন। ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হয় জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধেও। আইনজীবীর দাবি, ২০০৪ সালের পর নীতীশ তাঁর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল হলফনামায় ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানাননি। ২০১২ সালের হলফনামায় এক বার সে কথা উল্লেখ করেন। শর্মার যুক্তি, ২০০২ সালে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে হলফনামায় তা উল্লেখ করতেই হবে। নীতীশ তা মানেননি। তা হলে কেন তাঁর বিধান পরিষদের সদস্যপদ খারিজ করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই আইনজীবী।

আরও পড়ুন: মেয়ে হওয়ায় বঁটির কোপ, অ্যাসিড

বিহারে কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে মহাজোট ছেড়ে জেডিইউ বেরিয়ে আসার পরই নীতীশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন লালুপ্রসাদ। জেডিইউ নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেন। গত কাল নীতীশও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কথা জানান। আরজেডি নেতা জগতানন্দ সিংহ, রামচন্দ্র পূর্বে জেডিইউয়ের ওই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, খুনের মামলা এখনও রয়েছে নীতীশের বিরুদ্ধে। তিনি মুক্তি পাননি। সে জন্য তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE